ছাগলনাইয়ায় পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা, আসামি ৫০০

বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা বিদ্যুৎ কার্যালয়ে হামলা করে আসবাব, দরজা ও জানালার কাচ ভাঙচুর করেন। রোববার রাতে ছাগলনাইয়া পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে
ছবি: সংগৃহীত

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে ছাগলনাইয়া থানায় মামলাটি করেন ওই পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. জানে আলম।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গতকাল রোববার রাত পৌনে আটটার দিকে ৪০০ থেকে ৫০০ ব্যক্তি মিছিল নিয়ে ছাগলনাইয়া পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে হামলা করেন। তাঁরা প্রথমে ইট–পাটকেল নিক্ষেপ এবং পরে কার্যালয়ের গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে বিভিন্ন কক্ষে আসবাবপত্র ভাঙচুর ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নষ্ট করেন। খবর পেয়ে ছাগলনাইয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের কার্যালয় থেকে সরিয়ে দেন।

উপমহাব্যবস্থাপক মো. জানে আলম প্রথম আলোকে বলেন, সাধারণত গরমের সময় বিদ্যুতের চাহিদা বেশি থাকে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ ওই পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ দিতে পারে না। আজ পিক আওয়ারে ছাগলনাইয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ২০ মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ পাওয়া গেছে মাত্র সাড়ে ৬ মেগাওয়াট। এতে দিনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গড়ে সাত থেকে সাড়ে সাত ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যায়। ফলে সমন্বয় করতে লোডশেডিং দিতেই হয়।

ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুদ্বীপ রায় প্রথম আলোকে বলেন, ছাগলনাইয়া পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। আরও ফুটেজ সংগ্রহ করা হবে। এরপর হামলাকারীদের শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কয়েক দিন ধরে ছাগলনাইয়া পৌর শহরসহ গোটা উপজেলায় বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকে না বলে উপজেলা সদরের কয়েকজন ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে দাবি করেন।

তাঁরা বলেন, এর ফলে উপজেলার বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে আছেন। বাসাবাড়ি ও মসজিদে পানির জন্য হাহাকার চলছে। ইফতার, তারাবিহর নামাজ ও সাহ্‌রির সময় বিদ্যুৎ না থাকায় রোজা রাখতে সমস্যা হচ্ছে তাঁদের। এ কারণে উত্তেজিত জনতা গতকাল রাত পৌনে আটটার দিকে মিছিল নিয়ে ছাগলনাইয়া পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন।