চরফ্যাশনে আটকে যাওয়া বিদেশি পাথরবাহী বার্জটি ৪ দিন পর উদ্ধার

১৪ জুলাই সাগরমোহনার চরে বার্জটি আটকে যায়
ছবি: সংগৃহীত

চার দিন পর ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চরনিজামের পূর্বে সাগরমোহনার চরে আটকে যাওয়া বিদেশি পাথরবাহী বার্জটি উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় দিকে দক্ষিণাঞ্চলীয় কোস্টগার্ড সদস্যরা মালিকপক্ষের কাছে বার্জটি হস্তান্তর করে।

গতকাল রাতেই উদ্ধারকারী দুটি টাগবোট বার্জটি নিয়ে চট্টগ্রাম বাঁশখালী কয়লাবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের দিকে রওনা দিয়েছে। এর আগে ১৪ জুলাই সাগরমোহনার চরে বার্জটি আটকে যায়। গতকাল রাতে দক্ষিণাঞ্চলীয় কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট এ কে এম শাফিউল কিঞ্জল সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা এলাকায় নির্মিতব্য ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্প (বাঁশখালী এসএস পাওয়ার ওয়ান) ও কোস্টগার্ড সূত্রে জানা যায়, পাথর ও পাথরভাঙা মেশিনবাহী বার্জটি বাঁশখালী কয়লাবিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের উন্নয়নের কাজে আসছিল।

বার্জটির মালিক ভারতের অ্যানজেল এক্সপোর্ট কোম্পানি। ভারতের কাকিনাদা বন্দর থেকে বার্জটিকে এ এম অ্যাকুয়ার্ড নামের টাগবোট টেনে নিয়ে আসছিল। এটা বাংলাদেশের নৌ-সীমানায় আসার পরে বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে। তখন সমুদ্র উত্তাল হয়ে গেলে বার্জ থেকে টাগবোট বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে বার্জটি চরফ্যাশন চরে আটকে যায়।

কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা বলেন, বার্জটি উদ্ধারে মালিকপক্ষের একটি টাগবোট পায়রা বন্দর থেকে, অন্যটি চট্টগ্রাম থেকে চরনিজামে এসে পৌঁছায়। আসার পথে রোববার সেগুলো চরে আটকা পড়ে। গতকাল দুপুরের দিকে জোয়ারের উচ্চতা বাড়লে টাগবোটগুলো ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে কোস্টগার্ড আনুষ্ঠানিকভাবে বার্জটি মালিকপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে।