চট্টগ্রামে মালবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন–লরির সংঘর্ষ, গেটম্যানের অবহেলা বলছেন রেলওয়ে কর্মকর্তা

ট্রেনপ্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম নগরের সাগরিকা এলাকায় মালবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনের সঙ্গে লরির সংঘর্ষ হয়েছে। লরিটির নিচে চাপা পড়ে নিহত হয়েছেন এক ব্যক্তি।

আজ মঙ্গলবার ভোরে চট্টগ্রাম নগরের সাগরিকা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ইঞ্জিনে থাকা ট্রেনের দুই কর্মী আহত হয়েছেন।

গেট থাকলেও ঘটনাস্থলে গেটম্যান গেট ফেলেননি বলছেন রেলওয়ে কর্মকর্তা।

নিহত ব্যক্তির নাম শামসুল হাই (৬০)। তাঁর বাড়ি চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলীর দিদার কলোনিতে। তিনি ওই এলাকায় থাকা দোকানগুলোর নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কাজ করতেন। দুর্ঘটনার সময় ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

আহত দুজন হলেন লোকোমাস্টার (ট্রেনচালক) মনিরুল ইসলাম ও সহকারী লোকোমাস্টার মো. আলমগীর। তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান আজ সকাল সাতটায় প্রথম আলোকে বলেন, গেট থাকলেও ঘটনাস্থলে গেটম্যান গেট ফেলেননি। গেটম্যানের অবহেলা রয়েছে। দুর্ঘটনার পর লরির চালক পালিয়ে গেছেন। এখন উদ্ধারকাজ চলছে।

রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণকক্ষের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম নগরের চট্টগ্রাম গুডস পোর্ট ইয়ার্ড (সিজিপিওয়াই) থেকে মালবাহী একটি ট্রেন ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। সাগরিকার বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় একটি লরি রেললাইনে ঢুকে পড়ে। লরিটি সরাসরি ইঞ্জিনে ধাক্কা দেয়।

পাহাড়তলী ও কুমিল্লার লাকসাম থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন লাইনচ্যুত ইঞ্জিন ও বগি উদ্ধারের জন্য এসেছে। ট্রেনের বাকি মালবাহী বগিগুলো আবার সিজিপিওয়াই স্টেশনে নিয়ে আসা হয়েছে।