ফরিদপুরে সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হামলায় আহত, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ
ফরিদপুরে সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. মনজুরুল ইসলাম দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন। অধ্যক্ষের ওপর হামলার প্রতিবাদে এবং এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে কলেজের সামনের সড়কে আজ বৃহস্পতিবার মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল বুধবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে শহরের আবদুল করিম সড়কে ‘ফ্রেশ ফুড অ্যান্ড পেস্ট্রি’ শপের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ওই সময় অধ্যক্ষ মনজুরুল ইসলাম তাঁর ছেলেকে নিয়ে এশার নামাজ পড়তে মসজিদে যাচ্ছিলেন। এ সময় পেছনের দিক থেকে একটি মোটরসাইকেল আসে। ওই মোটরসাইকেলে চালকসহ দুজন আরোহী ছিলেন। মোটরসাইকেলের পেছনে থাকা আরোহী একটি লাঠি দিয়ে অধ্যক্ষের মাথায় আঘাত করলে তিনি সড়কের ওপর পড়ে যান।
পরে এলাকাবাসী অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁকে কলেজের নিজ বাসভবনে নেওয়া হয়।
পুলিশ বলছে, অধ্যক্ষকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা চালনো হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ সকাল ১০টার দিকে সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা কলেজের প্রধান ফটকের সামনে অম্বিকা সড়কে মানববন্ধন করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা সড়কটি অবরোধ করে রাখেন। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধনের সময় ওই সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এ কর্মসূচি চলাকালে কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বক্তব্য দেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের ওপর হামলার শাস্তি না দেওয়া পর্যন্ত ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন। পরে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান এবং পরিদর্শক (তদন্ত) জাফর ইকবাল ঘটনাস্থলে যান।
এই সময় ওসি আসাদউজ্জামান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘এ ঘটনার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ আমি দেখেছি। পরিকল্পিত হত্যার উদ্দেশ্যে অধ্যক্ষের ওপর এ হামলা চালানো হয়েছে। অবিলম্বে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।’ ওসি বিচারের আশ্বাস দেওয়ার পর শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে চলে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পরে দুপুর ১২টার দিকে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের সামনে ফরিদপুর শহরের সব কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে অধ্যক্ষের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়।