ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কালবৈশাখীতে ভাঙল গাছপালা-বসতঘর, পুরো ইউনিয়ন বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্ন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের উত্তর জাঙ্গাল গ্রামে কালবৈশাখীতে ২৫ থেকে ৩০টি কাঁচা বসতঘর ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেছবি: প্রথম আলো

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ওপর দিয়ে আজ রোববার সকালে কালবৈশাখী বয়ে গেছে। প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে হওয়া এই ঝড়ে ২৫ থেকে ৩০টি কাঁচা বসতঘর ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুতের খুঁটি ও অনেক গাছপালা উপড়ে পড়েছে। ঝড়ের পর থেকে সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের উত্তর জাঙ্গাল ও গজারিয়া গ্রামের ওপর দিয়ে আজ সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বৃষ্টির সঙ্গে প্রচণ্ড ঝড় হয়। ঘণ্টাব্যাপী চলা প্রবল ঝড়ের মধ্যে প্রচুর বজ্রপাতও হয়। ঝড়ে গজারিয়া এলাকায় অবস্থিত ৩৩কেবি সাবস্টেশন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের দুটি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গেছে। উত্তর জাঙ্গাল গ্রামের ২৫ থেকে ৩০টি কাঁচা বসতঘর ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রবল বাতাসে কয়েকটি বসতঘরের টিনের চালা উড়ে গেছে। গাছ উপড়ে পড়ায় কয়েকটি বসতঘর ভেঙে গেছে। এ ছাড়া অনেক গাছপালা উপড়ে এখানে-সেখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। বৈদ্যুতিক অনেক তারও ছিঁড়ে গেছে।

প্রবল বাতাসে কয়েকটি বসতঘরের টিনের চালা উড়ে গেছে। গাছ উপড়ে পড়ায় কয়েকটি বসতঘর ভেঙে গেছে। আজ সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের উত্তর জাঙ্গাল গ্রামে
ছবি: প্রথম আলো

উত্তর জাঙ্গাল গ্রামের দিনমজুর মিজান মিয়া, শাহিন মিয়া, রুহুল আমিন, জব্বার মিয়া ও এরশাদুল মিয়ার বাড়িঘর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খোঁজ পেয়ে সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ ওমর ফারুক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের বাড়িঘর পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি দুটি পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা সহায়তা দেন। তিনি বলেন, ‘বাড়িঘর ঝড়ে যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, মনে হচ্ছে টর্নেডো হয়েছে।’

উত্তর জাঙ্গাল গ্রামের ডেঙ্গুর বাড়ির এরশাদুল মিয়া বলেন, ঘরের পাশে থাকা বড় একটি গাছ শিকড় থেকে উপড়ে বসতঘরের ওপর পড়েছে। এতে তাঁর ঘর ভেঙে গেছে। একই বাড়ির জব্বর মিয়া বলেন, ঝড় বসতঘরের টিনের চালা উড়িয়ে নিয়ে গেছে। মাথার ওপর এখন খোলা আকাশ। রুহুল আমিন জানান, তাঁর বসতঘরের সবকিছু উড়িয়ে নিয়েছে ঝড়। এখন আর কিছুই নেই।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ প্রথম আলোকে বলেন, চলাচলের জন্য রাস্তা পরিষ্কার করা হচ্ছে। বিদ্যুতের সংযোগ মেরামত করতে পুরো দিন লেগে যাবে। লোকজন কাজ করছে।