মুঠোফোন বন্ধ হওয়ার দুই দিন পর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার

প্রতিষ্ঠানের টাকা তোলার জন্য দুপুরে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন লোকমান হোসেন। সন্ধ্যায় স্ত্রী যোগাযোগ করতে গিয়ে মুঠোফোন বন্ধ পান। দুই দিন পর আজ বুধবার সকালে তাঁর বস্তাবন্দী লাশ পাওয়া গেছে। কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় এ ঘটনা ঘটেছে।

ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বলছে, লোকমানকে হত্যার পর লাশ বস্তাবন্দী করে ফেলে রাখা হয়েছিল। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।

নিহত লোকমান হোসেনের (৩৬) বাড়ি কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস এলাকায়। বাবার নাম সাইদুর রহমান। তিনি রকিরা পেইন্ট কোম্পানির আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক (এরিয়া ম্যানেজার) ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে ভেড়ামারা পাইলট হাইস্কুলের গলিতে প্লাস্টিকের বস্তা দিয়ে জড়ানো একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এ সময় খবর পেয়ে লোকমান হোসেনের স্ত্রী জিন্নাত আরা টুম্পা সেখানে ছুটে যান। তিনি লাশ শনাক্ত করেন।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সকালে জিন্নাত আরা ভেড়ামারা থানায় স্বামীর সন্ধান চেয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, তাঁর স্বামী (লোকমান) সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। দুপুরে ভেড়ামারা হাইস্কুল ও দর্পণ হার্ডওয়্যার নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে নিখোঁজ হন তিনি। এরপর সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পান। এরপর আত্মীয়স্বজনের বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। মঙ্গলবার সকালে তিনি ভেড়ামারা থানায় একটি জিডি করেন।

ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবর রহমান বলেন, জিডির পর থেকেই পুলিশ লোকমানকে উদ্ধারে তৎপর ছিল। বুধবার সকালে লাশ পাওয়া গেছে। লাশের সুরতহাল শেষে মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে, তাঁকে হত্যার পর লাশ ফেলে রাখা হয়েছে।

ওসি মজিবর রহমান আরও বলেন, গোয়েন্দা ও জেলা পুলিশের একাধিক দল মাঠে কাজ করছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।