ময়মনসিংহে আওয়ামী নেতার বিরুদ্ধে চাঁদার দাবিতে ঠিকাদারকে মারধরের অভিযোগ

ময়মনসিংহে চাঁদা না দেওয়ায় মারধরের অভিযোগে ঠিকাদার লাবু মিয়ার সংবাদ সম্মেলন। আজ দুপুরে
ছবি: প্রথম আলো

ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগ নেতাকে চাঁদা না দেওয়ায় মারধরের শিকার হয়েছেন লাবু মিয়া নামের এক ঠিকাদার। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার কুষ্টিয়া ইউনিয়নের বিদ্যাগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আজ শনিবার লাবু মিয়া ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন। এর আগে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ঠিকাদার লাবু মিয়া বলেন, তিনি এল আর কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী। ময়মনসিংহ সদর উপজেলার কুষ্টিয়া ইউনিয়ন থেকে বোররচর ইউনিয়নের সংযোগ সড়ক হিসেবে সাড়ে চার কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা পাকাকরণের কাজ পেয়েছেন। কাজটির নির্মাণের ব্যয় ৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। গত ঈদুল ফিতরের পরপরই রাস্তার কাজ শুরু করেন। কাজ শুরুর পর থেকে কুষ্টিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল সরকার ১০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে আলতাফ নামের একজনকে দিয়ে প্রস্তাব পাঠান। কিন্তু তিনি (লাবু মিয়া) রাজি হননি।

হামলাকারীরা লাবু মিয়ার লাইসেন্স করা পিস্তল ছিনিয়ে নেন এবং সেই সঙ্গে নিজেদের পিস্তল দিয়ে গুলি করেন। পাশাপাশি লাবু মিয়া ও তাঁর কর্মীদের মারধর করেন। এতে আহত হয়ে লাবু মিয়া ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।

গতকাল লাবু মিয়া কাজ দেখতে যান। এ খবর পেয়ে বিকেলে বাবুল সরকারের নেতৃত্বে কয়েকজন লাবু মিয়া ও তাঁর কর্মীদের মারধর করেন। একপর্যায়ে লাবু মিয়া নিজের লাইসেন্স করা পিস্তল বের করে ভয় দেখানোর জন্য ফাঁকা গুলি করেন। কিন্তু এরপর হামলাকারীরা লাবু মিয়ার পিস্তল ছিনিয়ে নেন এবং সেই সঙ্গে নিজেদের পিস্তল দিয়ে গুলি করেন। পাশাপাশি হামলাকারীরা লাবু মিয়া ও তাঁর কর্মীদের মারধর করেন। এতে আহত হয়ে লাবু মিয়া ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। আজ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে আজ বিকেলে বাবুল সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘ঠিকাদারকে মারধরের ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। আমরা ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তবে বাবুল সরকার এখনো গ্রেপ্তার হননি।’