কোমরে রশি বেঁধে আদালতে নেওয়ায় তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ

কক্সবাজার জেলার মানচিত্র

কক্সবাজারের পেকুয়ায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে কোমরে রশি বেঁধে আদালতে নেওয়ার ঘটনায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) তিনজনকে দুই কর্মদিবসের মধ্যে আইনানুগ ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ হোসাইন এ নির্দেশ দেন।

ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াছ ছাড়া অন্য দুই কর্মকর্তা হলেন কর্তব্যরত কর্মকর্তা এবং পেকুয়া থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রইস উদ্দিন। তাঁদের দুই কর্মদিবসের মধ্যে আইনানুগ ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ওই ঘটনায় সোমবার প্রথম আলো অনলাইন সংস্করণে  ‘কোমরে রশি বেঁধে বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রকে আদালতে নেওয়ার ছবি ফেসবুকে, সমালোচনা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

ভুক্তভোগী ওই বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রের নাম হামিম মো. ফাহিম। তিনি চট্টগ্রামের সাউদার্ন ইউনিভার্সিটিতে স্নাতকের শিক্ষার্থী। তিনি পেকুয়ায় একটি কোচিং সেন্টার পরিচালনা করেন এবং শিক্ষকতা করেন। গত শনিবার রাতে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের একটি মারামারি মামলার পরোয়ানায় ফাহিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর গত রোববার পেকুয়া থানা-পুলিশের একটি দল কোমরে রশি বেঁধে ও হাতকড়া পরিয়ে তাঁকে আদালতে হাজির করে। আদালত তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আরও পড়ুন

ফাহিমের আইনজীবী মিজবাহ উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, ফাহিমকে কোমরে রশি বেঁধে আদালতে নেওয়ার ঘটনায় প্রকাশিত বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকার সংবাদ মঙ্গলবার আদালতের নজরে আনা হয়। আদালত দুই কর্মদিবসের মধ্যে পেকুয়া থানার ওসিসহ তিনজনকে আইনানুগ ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেন।

আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, শুনানিকালে আসামিপক্ষের বিজ্ঞ কৌঁসুলি আলোচ্য আসামির গ্রেপ্তার–পরবর্তী সময়ে আসামির পাশে দাঁড়ানো পুলিশসহ আসামির হাতে হ্যান্ডকাফ ও কোমরের কিয়দংশ ঊর্ধ্বে রশি দিয়ে বাঁধা স্থিরচিত্রসংবলিত সংবাদ প্রকাশের একাধিক জাতীয় দৈনিক পত্রিকার মূল কপি আদালতে দাখিলপূর্বক গ্রেপ্তার করা আসামির কোমরের কিয়দংশ ঊর্ধ্বে রশি দিয়ে বাঁধার বিষয়ে আদালতের কাছে আইনানুগ আদেশ প্রার্থনা করেন। এ অবস্থায় এই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মূলে ধৃত আসামির কোমরের কিয়দংশ ঊর্ধ্বে রশি দিয়ে বাঁধার বিষয়ে আগামী দুই কর্মদিবসের মধ্যে আইনানুগ ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য অফিসার ইন–চার্জ, কর্তব্যরত অফিসার ও এএসআই রইস উদ্দিনকে নির্দেশ প্রদান করা হলো।’