সংসদ সদস্যের আগমন উপলক্ষে মহিষের ২০ মণ দুধের পায়েস

লালপুরের তিলকপুর গ্রামে সংসদ সদস্য আবুল কালামের আগমন উপলক্ষে মহিষের ২০ মণ দুধ দিয়ে পায়েস রান্না করা হয়। রোববার বিকেলে
ছবি: প্রথম আলো

নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যের আগমন উপলক্ষে মহিষের ২০ মণ দুধের পায়েস রান্না করে বিতরণ করা হয়েছে। নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালামের আগমন উপলক্ষে আজ রোববার বিকেলে নাটোরের লালপুর উপজেলার তিলকপুর গ্রামে এ আয়োজন করা হয়।

তিলকপুর গ্রামের কয়েক বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নির্বাচিত হওয়ার পর সংসদ সদস্য আবুল কালাম প্রথমবারের মতো তিলকপুর গ্রামে আসেন। তাঁর আগমনকে স্মরণীয় করে রাখতে চান গ্রামবাসী। এ উপলক্ষে গ্রামবাসীর পক্ষে ব্যতিক্রমী ভোজের আয়োজন করা হয়। তাঁরা গ্রামের খামারিদের কাছ থেকে মহিষের ২০ মণ দুধ সংগ্রহ করেন। সেই দুধ ও আতপ চাল দিয়ে মহা ধুমধামে ১০ জন বাবুর্চি মিলে পায়েস রান্নার আয়োজন করা হয়। ১০ ডেক পায়েস রান্না করে গ্রামের অন্তত ছয় শতাধিক বাসিন্দার মধ্যে তা বিতরণ করা হয়। সংসদ সদস্য নিজ হাতে পায়েস বিতরণের উদ্বোধন করেন। পরে তিনি নিজেও গ্রামবাসীর সঙ্গে বসে পায়েস খান। এ সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন। অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের ঝালমুখ করারও ব্যবস্থা ছিল। পায়েস খাওয়া শেষে সবার মধ্যে খিচুড়িও বিতরণ করা হয়।

গ্রামবাসীর অংশগ্রহণে এই ভোজের আয়োজন করা হলেও এর মূল উদ্যোক্তা ছিলেন স্থানীয় ইউনিয়ন (পুরোনো ঈশ্বরদী ইউনিয়ন) আওয়ামী লীগের সভাপতি ইলিয়াস মল্লিক ও সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা।

সেলিম রেজা বলেন, এর আগেও একবার নাটোর-১ আসনে আবুল কালাম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সে সময় তিনি তাঁদের এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছিলেন। এবার আবার নির্বাচিত হয়ে এই গ্রামে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তাই গ্রামবাসী তাঁকে ভিন্নভাবে অভ্যর্থনা জানানোর সিদ্ধান্ত নেন। গ্রামটিতে কিছু মাদি মহিষের খামার রয়েছে। তাঁরা মহিষের ২০ মণ দুধ দিয়ে পায়েস রান্না করে সংসদ সদস্যের সঙ্গে বসে পায়েস খাওয়ার আয়োজন করেন। সংসদ সদস্য নিজেও এই আয়োজনে আগ্রহ প্রকাশ করেন। সে মোতাবেক ওই পায়েস রান্না করা হয়।

সংসদ সদস্য আবুল কালাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘তিলকপুর গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দা পদ্মা নদীর ভাঙনের শিকার। আর্থিকভাবে তাঁরা দুর্বল। কিন্তু আমার প্রতি তাঁদের ভালোবাসার কমতি নেই। যখনই ওই গ্রামে গিয়েছি, তখনই দলমত-নির্বিশেষে সবাই তাঁকে ঘিরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এবারও তাঁর ব্যতিক্রম হয়নি। মহিষের ২০ মণ দুধের পায়েস রান্না করা হয়েছে। গ্রামের সবাই আমার সঙ্গে বসে এই পায়েস খান। এ উপলক্ষে গ্রামজুড়ে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। আমি গ্রামবাসীর কাছে ঋণী হয়ে থাকলাম।’