ছাত্র ফ্রন্টের সদস্য শারমিন আক্তার বলেন, শিফট পদ্ধতির কারণে ভর্তি পরীক্ষায় চরম বৈষম্য হয়। এ কারণে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পান না। অথচ এই পদ্ধতির কারণেই আবার অনেক অপেক্ষাকৃত কম মেধাবী শিক্ষার্থী সুযোগ পান। এ ছাড়া আবেদন ফরমের মূল্যবৃদ্ধির কারণে অনেক পরীক্ষার্থী আবেদনই করতে পারবেন না বলে মনে করেন তিনি।

এ সময় দাবির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন জাবি সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচি। তিনি বলেন, সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা এখন শিক্ষা কার্যক্রম বাদ রেখে ভূমি দখলসহ নানা ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন। একটা দেশের শিক্ষাব্যবস্থার এই অবস্থা হলে, দেশটা কোন দিকে যাচ্ছে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনার সদস্যসচিব ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) আবু হাসান মুঠোফোন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রীয় কমিটিতে এসব বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করব। আমরাও চাই না, এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে, যেন শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি হয়।’