রাজবাড়ীতে নিখোঁজের তিন দিন পর তরুণের লাশ উদ্ধার, কোমরে শিকল বাঁধা
রাজবাড়ীর কালুখালীতে নিখোঁজের তিন দিন পর কোমরে শিকল বাঁধা অবস্থায় এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার দুপুরে লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত তরুণের নাম নীরব শেখ (১৭)। সে কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের জিয়ারুল শেখের ছেলে।
গত বুধবার রাত থেকে নীরব শেখ নিখোঁজ ছিল। পুলিশের ধারণা, নীরব শেখকে হত্যার পর লাশ পদ্মা নদীতে ডুবিয়ে দিতে কোমরে শিকল দিয়ে এর সঙ্গে ভারী বস্তুর বস্তা বাঁধা হয়েছিল। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, পরিবারে অভাবের কারণে নীরব শেখ কয়েক মাস আগে ঢাকার দোহারের একটি প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকের কাজ করতে যায়। কিন্তু কাজ ভালো না লাগায় প্রায় দুই মাস আগে বাড়িতে ফিরে আসে। এর পর থেকে বাড়িতে বেকার বসে ছিল নীরব।
বুধবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আর ফিরে আসেনি। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে নীরবের বাবা জিয়ারুল শেখ গত শনিবার কালুখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর থানা–পুলিশও ওই কিশোরের খোঁজে নামে। এর মধ্যে আজ বেলা ১১টার দিকে খবর আসে, উপজেলা সদর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে মাধবপুর চর পদ্মা নদীর ক্যানেলে অর্ধডুবন্ত অবস্থায় একটি মরদেহ ভাসছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কোমরে শিকল দিয়ে বাঁধা এবং শিকলের অপর প্রান্তে বস্তায় ভারী কিছু দিয়ে বেঁধে ডুবিয়ে রাখা মরদেহ উদ্ধার করে। লাশটি নীরবের বলে শনাক্ত করেন তাঁর পরিবারের লোকজন।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, হত্যার পর ওই কিশোরের কোমরে শিকল বেঁধে ভারী বস্তার সঙ্গে পদ্মায় ডুবিয়ে দেওয়া হয়। লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কী কারণে হত্যা করা হয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।