যশোরে কমিউনিস্ট লীগের পদযাত্রায় শ্রমিক লীগের হামলার অভিযোগ

হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার চেয়ে সোমবার সন্ধ্যায় যশোর জেলা শাখার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ
ছবি: প্রথম আলো

জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের করা পদযাত্রায় শ্রমিক লীগের নেতা-কর্মীরা হামলা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় দলের পাঁচ নেতা-কর্মী আহত হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সংগঠনটির যশোর জেলা শাখার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবি করা হয়েছে। এতে বক্তব্য দেন বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির, যশোর জেলা শাখার সভাপতি আবুল হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা শাখার সম্পাদক তসলিম-উর-রহমান।

সম্মেলনে নেতারা বলেন, গণতান্ত্রিক বাম জোটের শরিক বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ কেন্দ্রীয়ভাবে ১১ থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত দেশব্যাপী ৪টি রুটে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, নির্বাচনী আইনের সংস্কার, দ্রব্যমূল্য, জনজীবনের সংকট নিরসনসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে পদযাত্রা, গণসংযোগ, পথসভা, সমাবেশ, প্রচারপত্র বিতরণসহ নানা কর্মসূচি পালন করছে।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, গতকাল যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া বাজারে পদযাত্রা ও পথসভা শেষে বসুন্দিয়ার উদ্দেশে যাত্রার সময় শ্রমিক লীগের নেতা রবিন অধিকারী ও তাঁর কর্মী–সমর্থকেরা শটগান, পিস্তল, রড, স্টাম্প নিয়ে পদযাত্রার পিকআপে হামলা করেন। এ সময় হামলাকারী ব্যক্তিরা গাড়িতে থাকা লিফলেট, ব্যানার, মাইক এবং নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নেন। এ সময় লিফলেটে আগুন ধরিয়ে দেন, পদযাত্রার গাড়ির সামনের কাচ ভাঙচুর করেন এবং নেতা-কর্মীদের মারধর করেন তাঁরা।

সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, হামলায় বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের জেলা শাখার নেতা পলাশ বিশ্বাস, উপজেলা শাখার নেতা সাধন বিশ্বাসসহ পাঁচ-ছয়জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবিরের সঙ্গে হামলাকারী ব্যক্তিরা অসৌজন্যমূলক আচরণ ও দুর্ব্যবহার করেন। তাঁদের বাধার মুখে আহত নেতা-কর্মীরাসহ দলের সবাই যশোরে চলে আসেন।

শ্রমিক লীগ নেতা রবিন অধিকারী বলেন, ‘বাম নেতারা আওয়ামী লীগের নেতাদের ভোট চোর বলছিলেন। তখন সেখানে উপস্থিত স্থানীয় লোকজন তাঁদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চান। গ্রামের লোকজন উত্তেজিত হয়ে যান। তখন আমি গিয়ে বুঝিয়ে তাঁদের সেখান থেকে পার করে দিই। আমি তাঁদের মারিনি, বরং তাঁদের রক্ষা করেছি।’

এ বিষয়ে যশোর জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) বেলাল হোসাইন বলেন, ঘটনাটি তাঁর জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।