সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, সুরমা ও কুশিয়ারার পানি এখনো বিপৎসীমার ওপরে

ভিটেমাটি থেকে বন্যার পানি নেমে গেছে। গতকাল শনিবার সিলেটের কান্দিগাঁও ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডেছবি: প্রথম আলো

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। বাসাবাড়ি থেকে পানি নেমে যাচ্ছে। আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেওয়া লোকজন বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন। তবে সিলেটের প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার চারটি পয়েন্টে পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিলেটের পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, আগে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটে নদ-নদীর পানি বেড়েছিল। বিভিন্ন পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। দুই দিন ধরে বৃষ্টির পরিমাণ কমে আসায় পানি নামতে শুরু করেছে। তবে হাওর ও নদ-নদীগুলোয় পানি বেশি থাকায় পানি নামতে কিছুটা সময় লাগছে।

সিলেটের পাউবো সূত্রে জানা যায়, কয়েক দিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় সিলেটে নদ-নদীর পানি কমছে। আজ রোববার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ওপরে দিয়ে প্রবাহিত হয়। কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ, ফেঞ্চুগঞ্জ ও শেরপুর পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অমলশিদ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৯ সেন্টিমিটার ও শেরপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিলেট জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে ৭২০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৩৬২টি আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষ ঠাঁই নেন। গতকাল শনিবারের তথ্য অনুযায়ী, সিলেট নগরসহ বিভিন্ন এলাকার আশ্রয় কেন্দ্রগুলোয় ২২ হাজার ৬২৩ জন অবস্থান করছিলেন।

জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, দুই দিন ধরে সিলেটের আকাশে সূর্যের দেখা মিলছে। বৃষ্টি না হওয়ায় পানি কমছে। বর্তমানে বন্যা আক্রান্ত এলাকাগুলোয় ত্রাণ বিতরণ ও খাদ্য ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয় তৎপরতা রয়েছে। বন্যার্তদের স্বাস্থ্যসেবার জন্য ইউনিয়নভিত্তিক মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।