গাইবান্ধার নদ-নদীর পানি বেড়ে ডুবছে ১৬৫টি চরের নিম্নাঞ্চল

বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধায় বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বুধবার দুপুরে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের গোঘাট এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদে
ছবি: প্রথম আলো

দফায় দফায় বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গাইবান্ধায় বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে জেলার নদীবেষ্টিত ১৬৫ চরের নিম্নাঞ্চল ডুবতে শুরু করেছে।

এরই মধ্যে নদীতীরবর্তী সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর, গাইবান্ধা সদর উপজেলার মোল্লারচর, কামারজানি, ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ি ও ফজলুপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পানি উঠেছে। চরাঞ্চলের রাস্তাঘাট ডুবে যেতে শুরু করেছে। এদিকে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে।

নদীতীরবর্তী চরাঞ্চলের কিছু এলাকায় পানি উঠেছে উল্লেখ করে আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে আজ বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলার সব নদ-নদীর পানি বেড়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার পানি ১৭ সেন্টিমিটার বেড়েছে। তবে কোনো নদীর পানিই বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।

হাফিজুল হক আরও বলেন, আজ সকাল ৯টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ির তিস্তামুখ পয়েন্টে মাত্র ৩২ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদীর পানি শহরে নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ১২৬ সেন্টিমিটার, তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে ৯২ সেন্টিমিটার ও করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালী পয়েন্টে ৫২৩ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

গাইবান্ধা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শরীফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলার কামারজানি ও মোল্লারচর ইউনিয়নের বেশ কিছু চরের নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট ডুবতে শুরু করেছে। এ ছাড়া কামারজানি ইউনিয়নের কুন্দেরপাড়া চরে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

এদিকে পানি বাড়ায় ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের কুন্দেরপাড়া গ্রামে এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিপুর খেয়াঘাটের অদূরে নদীতীর ভাঙতে শুরু করেছে।

এদিকে পাউবোর গাইবান্ধার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ভাঙন রোধে কিছু এলাকায় নদীর তীরে জিওব্যাগ ফেলা হয়েছে। বাকি অংশেও ফেলা হবে।