মদনে লরিচাপায় ৫ এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ আহত ৭

দুর্ঘটনা–কবলিত রডবোঝাই লরি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। শনিবার দুপুরে নেত্রকোনা-মদন সড়কের বটতলা এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

নেত্রকোনার মদন উপজেলায় পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে রডবোঝাই লরিচাপায় পাঁচজন এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ মোট সাতজন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার দুপুরে নেত্রকোনা-মদন সড়কের বটতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহত শিক্ষার্থীরা হলো উপজেলার কেশজানি বিদ্যানিকেতনের এসএসসি পরীক্ষার্থী সুবর্ণা আক্তার (১৬), আনোয়ার হোসেন (১৬), জেরিন আক্তার (১৬), তাসলিমা আক্তার (১৬) ও লাহেছ মিয়া (১৬)। অন্য দুজন হলেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার (ইজিবাইক) চালক মাসুম মিয়া (২৮) ও লরিচালক রাসেল মিয়া (৩২)। আহতদের মধ্যে শিক্ষার্থী সুবর্ণা ও আনোয়ারকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছে।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কেশজানি বিদ্যানিকেতনের শিক্ষার্থীদের এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র আটপাড়া উপজেলার তেলিগাতি ডিগ্রি কলেজ। আজ দুপুরে বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা শেষে পাঁচজন পরীক্ষার্থী একটি ইজিবাইকে করে তেলিগাতি থেকে বাড়ি ফিরছিল। নেত্রকোনা-মদন সড়কের বটতলা স্থানে পৌঁছালে কেন্দুয়া থেকে আসা রডবোঝাই একটি লরি বিপরীত দিক থেকে ইজিবাইকটিকে চাপা দেয়। এতে লরি ও ইজিবাইকটি সড়কের পাশে ডোবায় পড়ে যায়। স্থানীয় লোকজন ও মদন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দুজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শায়ন্তনী শর্মা বলেন, শিক্ষার্থী সুবর্ণা ও আনোয়ারের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের হাত ও পায়ের হাড় ভেঙে গেছে। অন্যদের হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

কেশজানি বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক আলী আহম্মদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘লরিচাপায় আমার বিদ্যালয়ের পাঁচজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে। তারা সুস্থ হয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পরবে কি না, সেই শঙ্কায় আছি।’

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।