ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ফিরে আসার অপেক্ষায় খুলনা মেডিকেল কর্তৃপক্ষ

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কারণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের কম জনবল দিয়ে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। রোববার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেফাইল ছবি: প্রথম আলো

ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা না থাকায় রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। রোগী ভর্তি থেকে শুরু করে সবকিছুই করতে হচ্ছে তাঁদের। অন্যদিকে রোগীরাও ভালো সেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করছেন।

এমন পরিস্থিতিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ফিরে আসার অপেক্ষায় আছে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের কর্মসূচি অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত কর্মবিরতি রয়েছে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের। ২৪ মার্চ থেকে টানা কর্মবিরতি পালন করছেন তাঁরা।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. হুসাইন শাফায়াত প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে সবারই কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। আজ তাদের কর্মবিরতি শেষ হওয়ার কথা, কিন্তু তারা এখনো আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। আমরা তাদের ফিরে আসার অপেক্ষায় আছি।’

মো. হুসাইন শাফায়াত বলেন, তাঁরা ফিরে না এলেও সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। মানসিকভাবেও সব চিকিৎসক কাজ করতে প্রস্তুত আছেন। হাসপাতালের যত চিকিৎসক আছেন, সবাইকে রোস্টার করে দায়িত্ব পালন করানো হচ্ছে। এতে চিকিৎসকদের কিছুটা কষ্ট হচ্ছে, তবে চালিয়ে নিতে হচ্ছে। রোগীদের প্রতি মনোযোগ হয়তো কিছুটা কমে যাচ্ছে।

৫০০ শয্যার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোজার শুরুতেও গড়ে দেড় হাজার রোগী ভর্তি ছিলেন। কিন্তু ঈদকে সামনে রেখে দিন দিন রোগী কিছুটা কমে যাচ্ছে। এখন হাসপাতালে ১ হাজার ২০০–এর মতো রোগী ভর্তি আছেন বলে জানান ওই পরিচালক।

ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা বলছেন, বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মবিরতি পালন করেছেন তাঁরা। সারা দেশের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই একযোগে ওই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। প্রথম দিকে দুই দিনের কর্মসূচি দেওয়া হলেও দাবি মেনে না নেওয়ায় আরও পাঁচ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা আজ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। সেখানকার ফলাফল ভালো না হলে আবারও কর্মসূচি আসতে পারে।

গত বছর ইন্টার্ন চিকিৎসক ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকেরা তাদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন। ওই সময়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বেতন-ভাতা বৃদ্ধির আশ্বাস দিয়েছিলেন। পরে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের বেতন-ভাতা কিছুটা বৃদ্ধি করা হলেও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা হয়নি। একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক বেতন বা ভাতা পান মাত্র ১৫ হাজার টাকা। বেতন-ভাতা ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করছেন তাঁরা।