ধুনটে মামলার সাক্ষীকে হত্যার অভিযোগে বাবা-ছেলেসহ গ্রেপ্তার ৫

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় আবদুল খালেক (৬২) নামে মারধরের মামলার এক সাক্ষীকে হত্যার অভিযোগে বাবা-ছেলেসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বগুড়া আদালত এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে গতকাল রাতে নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই আবদুল কাদের বাদী হয়ে আটজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। আবদুল খালেক উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের হেউটনগর কোদলাপাড়া গ্রামের মৃত আজাহার আলীর ছেলে। গতকাল সকালে প্রতিপক্ষের মারধরে তিনি নিহত হন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার হেউটনগর কোদলাপাড়া গ্রামের আবদুল বাছেদের ছেলে সানোয়ার হোসেন (৩৬), মহির উদ্দীনের ছেলে মোজাম্মেল হক (৫৫), তাঁর ছেলে ফজুলল হক (৩৮), রুবেল হক (৩০) ও সেলিম হক (২৮)।

পুলিশ ও নিহত ব্যক্তির স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হেউটনগর কোদলাপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের উন্নয়নকাজ নিয়ে মোজাম্মেল হকের সঙ্গে একই গ্রামের আবদুস সাত্তারের বিরোধ চলছিল।

ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে মারধরের অভিযোগে ২ নভেম্বর মোজাম্মেলসহ সাতজনকে আসামি করে আদালতে একটি মামলা করেন আবদুস সাত্তার। ওই মামলার সাক্ষী ছিলেন তাঁর বড় ভাই আবদুল খালেক। গতকাল ওই মামলায় আসামিদের আদালতে হাজিরার দিন ধার্য ছিল। মামলার বাদী ও বিবাদী একই গ্রামের বাসিন্দা ও প্রতিবেশী। আসামিরা আদালতে হাজিরা দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে রাস্তায় বের হন। তখন মামলার বাদী আবদুস ছাত্তারও আদালতে যাওয়ার জন্য রাস্তায় বের হন। সেখানে বাদীকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেন আসামিরা। এ নিয়ে দুই পক্ষের বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে আসামিরা বাদীকে মারধর করতে থাকেন। তখন সাক্ষী আবদুল খালেক ভাইকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে আসামিরা তাঁকেও মারধর করেন। মারধরের একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আবদুল খালেক। তাঁকে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, আবদুল খালেক হত্যার অভিযোগে করা মামলার পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর আজ দুপুর ১২টার দিকে আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।