আশিক ছাড়াও নগরের নিম্ন আয়ের বেশির ভাগ মানুষের গল্প এখন এমনই। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রংপুর নগরের তাঁতিপাড়া সেতুর পাশে, মোসলেম উদ্দিন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, সালেমা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, শালবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর ও দক্ষিণ মোমিনপুর মিলের পাড়সহ ছয়টি কেন্দ্রে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) সুলভ মূল্যে তেল, ডাল, চিনি ও ছোলা বুট বিক্রি করছে। এ সময় কার্ডধারী পরিবারের লোকজনের সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়।

আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকারকর্তৃক নির্ধারিত উপকারভোগী পরিবারের মধ্যে আজ থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আজ সকাল ১০টায় আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁতিপাড়া সেতুর পাশে সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবির কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক চিত্রলেখা নাজনীন।

এই কেন্দ্র থেকে তেল, ডাল, চিনি ও ছোলা বুট কিনে বাড়ি ফিরছিলেন সমর কুমার অধিকারী। তিনি বলেন, ‘বাজারোত শোগ জিনিসের দাম বাড়ছে। কম দামে পণ্য পায়া হামার মতো গরিব মানুষের অনেক উপকার হইছে।’

এদিকে নগরের সালেমা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সামনের কেন্দ্রে বেলা ১১টায় থেকে পণ্য বিক্রি শুরু হয়। তবে সকাল থেকেই সেখানে ক্রেতাদের লম্বা সারি তৈরি হয়। সকাল ৯টায় গিয়ে দেখা যায়, টিসিবির পণ্য পেতে আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ছুটে এসেছেন। গুপ্তপাড়ার বাসিন্দা সোনালী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা তৈয়বুর রহমান ছিলেন অপেক্ষমাণ সারিতে। তিনি বলেন, ‘নিত্যপণ্যের সব জিনিসের দাম বেড়েই চলেছে। বাজারে গিয়ে জিনিসপত্র কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এখন এই কার্ডই ভরসা। একটা কার্ডে কত যে উপকার হয়েছে, তা কী করে বুঝাই!’

বাড়ির কাজ ফেলে সুলভ মূল্যে টিসিবির পণ্য কিনতে এসেছেন নগরের বৈরাগীপাড়া এলাকার বাসিন্দা আনজুমান আরা (৬৫)। ছয়জনের

সংসারে অনেক কষ্ট। তিনি বলেন, ‘টিসিবির এই ৪টা জিনিস কিনতে ৪৭০ টাকা লাগবে। সেটে এই জিনিস কয়টা বাজার থাকি কিনবার গেইলে আরও ৩৫০ টাকা বেশি লাগিল হয়।