বেগমগঞ্জের রেলওয়ে মার্কেটে আগুন, ৩০ দোকান পুড়ে ছাই

দুর্ঘটনায় প্রায় ৩০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী বাজারের রেলওয়ে মার্কেটে
ছবি: প্রথম আলো

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী বাজারের রেলওয়ে মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ৩০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আজ বুধবার ভোর সোয়া পাঁচটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ফায়ার সার্ভিস, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ ভোর পাঁচটার দিকে চৌমুহনী বাজারের রেলওয়ে মার্কেটের একটি দোকানে হঠাৎ আগুন জ্বলতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় লোকজন আগুন নেভাতে এগিয়ে এলেও মুহূর্তের মধ্যে আগুন আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে চৌমুহনী, মাইজদী, কবিরহাট, সেনবাগ, কোম্পানীগঞ্জ ও সোনাইমুড়ী ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

তবে এর আগেই ওই মার্কেটের ক্রোকারিজ সামগ্রীর ১৫টি দোকান, রেস্তোরাঁ, আবাসিক হোটেলসহ কমপক্ষে ৩০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দাবি, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

বাজারের ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম বলেন, চৌমুহনীতে প্রায়ই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু শহরের অধিকাংশ সরকারি পুকুর, ডোবা অবৈধভাবে দখল হয়ে গেছে। এ জন্য কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিসকে আগুন নেভাতে অনেক বেগ পেতে হয়।

নোয়াখালী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, আগুনের খবর পেয়ে প্রথমে চৌমুহনী ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নেভানোর জন্য কাজ শুরু করে। পরে জেলার সদর মাইজদী, সোনাইমুড়ী, সেনবাগ, কোম্পানীগঞ্জ থেকে আরও পাঁচটি ইউনিট যোগ দেয়। সব মিলিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিটের চেষ্টায় দুই ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও আগুনের সূত্রপাতের কারণ তদন্ত শেষে বলা যাবে।