বাগেরহাটে সহপাঠীর ব্লেডের পোঁচে ৩ শিক্ষার্থী আহত

বাগেরহাট জেলার মানচিত্র

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে সহপাঠীর ব্লেডের আঘাতে (পোঁচে) তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আজ সোমবার দুপুরে ফকিরহাট উপজেলার শান্তিগঞ্জের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ব্লেড দিয়ে পোঁচ দেওয়া সহপাঠী শিক্ষার্থী নাসির সরদারকে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আহত শিক্ষার্থীরা হলেন জাকারিয়া অনিক (২২), জয়ন্ত রাহা (২৩) এবং মুছা আবদুল্লাহ (২২)। তাঁদের মধ্যে জাকারিয়া ও জয়ন্তর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। আর মুছাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

এই শিক্ষার্থীরা সবাই উপজেলার মূলঘর এলাকার সাকিনা-আজাহার টেকনিক্যাল কলেজে অধ্যয়নরত। সবাই বিএম (এইচএসসি) ট্রেডের শিক্ষার্থী।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এ এস এম মফিদুল ইসলাম বলেন, আজ সোমবার বেলা একটার দিকে তিনজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এই তিনজনের মধ্যে জাকারিয়ার মাথায়, বুকে পেটে, জয়ন্তের মুখের বামপাশে ধারালো অস্ত্রের গুরুতর আঘাতের ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। আর মুছা আবদুল্লাহর পিঠে আঘাত রয়েছে। মুছাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। গুরুতর আহত জাকারিয়া ও জয়ন্তকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

স্থানীয় লোকজনের বরাতে ফকিরহাট মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল হাসেম বলেন, আজ সকালে উপজেলার মূলঘর এলাকার সাকিনা-আজাহার টেকনিক্যাল কলেজে অধ্যয়নরত বিএম ট্রেডের এই শিক্ষার্থীরা কলেজে আসেন।

জাকারিয়া, জয়ন্ত, মুছা ও নাসির এই চার সহপাঠী কলেজ থেকে বেরিয়ে প্রায় ২০০ গজ দূরে শান্তিগঞ্জের মোড়ে যান। সেখানে গিয়ে কোনো এক মেয়েলি ঘটনা নিয়ে নাসিরের সঙ্গে ওই তিনজনের কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে নাসির ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর কাছে থাকা ধারালো ব্লেড দিয়ে ওই তিনজনকে এলোপাথাড়ি আঘাত করেন। নাসির নিজেও ব্লেডের আঘাতে জখম হয়েছেন। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে নাসিরকে গ্রেপ্তার করে। তিনি মেয়েলি–সংক্রান্ত বিরোধে তাঁর সহপাঠী বন্ধুদের ব্লেডে দিয়ে আঘাত করেছেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।