সোনা চুরির টাকায় কেনেন ‘রয়েল এনফিল্ড’ মোটরসাইকেল, অতঃপর...

সোনা চৃুরির টাকায় কেনা ‘রয়েল এনফিল্ড’ মোটরসাইকেল, যা পুলিশ জব্দ করেছেছবি: পুলিশের সৌজন্যে

‘রয়েল এনফিল্ড’ মোটরসাইকেল চালানোর শখ ছিল দীর্ঘদিনের। সেই শখ পূরণ করতে বেশি সোনার অলংকার থাকার সম্ভাবনা আছে—এমন বাসা বেছে নিয়ে চুরি করতেন তিনি। চোরাই স্বর্ণ বিক্রি করে প্রায় পাঁচ লাখ টাকায় কিনে ফেলেন রয়েল এনফিল্ড মোটরসাইকেল। তবে শেষ পর্যন্ত রক্ষা হয়নি। মোটরসাইকেলসহ চোর চক্রের সেই সদস্যসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

চোরচক্রের সেই সদস্য হলেন সালাউদ্দিন ওরফে সেতু। এ ছাড়া গ্রেপ্তার বাকি চারজন হলেন মো. জসিম, মোস্তাকিন হোসেন ও মো. ইসমাইল। নগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গতকাল সোমবার রাতে নগর ও জেলার আনোয়ারা এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ জানায়, ৫ ডিসেম্বর নগরের কোতোয়ালি থানার আসকার দিঘির পাড় এলাকায় একটি ভবনের সপ্তম তলায় পূরবী বিশ্বাস নামের এক নারীর বাসায় চুরির ঘটনা ঘটে। ওই সময় চোরেরা বাসা থেকে ২০ ভরি সোনার অলংকার, নগদ টাকা ও একটি ল্যাপটপ নিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে নগর গোয়েন্দা পুলিশ ছায়া তদন্ত শুরু করে।

তদন্তের অংশ হিসেবে আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে চারজনকে শনাক্ত করা হয়। গত সোমবার রাতে নগরের টাইগারপাস এলাকা থেকে মো. জসিম ও মোস্তাকিন হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জসিমের কাছ থেকে চুরি হওয়া ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জেলার আনোয়ারা থেকে সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তাঁর কাছ থেকে চুরির টাকায় কেনা একটি রয়েল এনফিল্ড মোটরসাইকেল ও নগদ ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে টেরিবাজার এলাকা থেকে মো. ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার চোরচক্রের চার সদস্য
ছবি: পুলিশের সৌজন্যে

নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (পশ্চিম) মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা একটি সক্রিয় চোর চক্রের সদস্য। তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে চার থেকে পাঁচটি করে মামলা রয়েছে। চুরি করা সোনা বিক্রির টাকা ভাগাভাগি করে নিতেন তাঁরা।

মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান আরও বলেন, চোরদের একজন সালাউদ্দিন দীর্ঘদিনের শখ পূরণ করতে চুরির টাকায় ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা দিয়ে রয়েল এনফিল্ড মোটরসাইকেল কেনেন। সেটি উদ্ধার করা হয়েছে। চোরাই সোনা টেরিবাজার এলাকার একটি দোকানে বিক্রি করা হতো। পুলিশ অভিযানে গেলে দোকানটি বন্ধ করে পালিয়ে যান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। চোরাই সোনা কেনাবেচার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।