গাইবান্ধায় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সংর্ঘষ, আহত অন্তত ৯৩

গাইবান্ধা শহরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেওয়া বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদুনে গ্যাসের শেল ছোড়ে পুলিশ। আজ রোববার দুপুরেছবি: প্রথম আলো

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গাইবান্ধা শহরে আজ রোববার পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদুনে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।

এতে আহত হয়ে বিক্ষোভকারী, সাংবাদিক, পুলিশসহ অন্তত ৯৩ জন গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ৩০ জন বর্তমানে ভর্তি আছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. আশিক। তিনি বলেন, তাঁরা রাবার বুলেট ও ইটপাটকেলের আঘাতে আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শহরের পৌর পার্কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি পালনে বিক্ষোভকারীরা সমবেত হতে থাকেন। বেলা ১১টার দিকে তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। মিছিলে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ অংশ নেন। মিছিলটি পৌর পার্ক থেকে শুরু হয়ে শহরের ডিবি রোড ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বিক্ষোভকারীরা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় রাস্তার দুপাশের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। লোকজন আতঙ্কিত হয়ে দোকানপাট বন্ধ করে ফেলেন। আন্দোলনকারীদের স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে জেলা শহর।

আরও পড়ুন

পরে মিছিলটি গাইবান্ধা পৌর পার্ক এলাকায় সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশ চলাকালে শহরের সার্কুলার রোডের পৌরসভা কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা কার্যালয়ের প্রধান ফটক, জানালা, সামনে রাখা একটি ময়লা বহনকারী ট্রাক ও চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। পরে মিছিলটি আবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আসে। পরে তারা সেখানে দীর্ঘ সময় অবস্থান করে। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংর্ঘষ হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সাউন্ড গ্রেনেড, রাউন্ড রাবার বুলেট ও কাঁদুনে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।

গোটা শহরে সকাল থেকে দোকানপাট বন্ধ ছিল। ব্যাংকগুলোও বন্ধ ছিল। সড়কে যানবাহন চলাচল ও লোকজন কম ছিল। বিকেল সাড়ে ৪টা পযর্ন্ত আন্দোলনকারীরা শহরে অবস্থান করছিলেন। শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

এসব বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মাসুদ রানা বলেন, আন্দোলনকারীরা পুলিশের ওপর আক্রমণ করলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।