কতিপয় দল, কতিপয় লোক বিএনপিকে এক কোণে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে: মির্জা আব্বাস
বিএনপি ও দলের শীর্ষ নেতাদের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে কিছু মানুষ বিএনপিকে এক কোণে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন বলেছেন, ‘ঈর্ষান্বিত কতিপয় মানুষ, কতিপয় দল, কতিপয় লোক বিএনপিকে এক কোণে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা বিএনপিকে আওয়ামী লীগের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। বিএনপিকে ভারতের দালাল হিসেবে আখ্যায়িত করার চেষ্টা করছে।’
আজ মঙ্গলবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের ডন চেম্বার এলাকায় সলিমুল্লাহ সড়কের ওপর আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন। যারা বিএনপিকে ‘ভারতের দালাল’ হিসেবে আখ্যায়িত করার চেষ্টা করছে তাদের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেছেন, ‘আমাদের বিএনপি কখনোই ভারতের তাঁবেদারি করে নাই। যদি তাঁবেদারি করত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান জীবিত থাকতেন, উনি মারা যেতেন না। উনি ভারতের তাঁবেদারি করেন নাই বলে উনাকে আত্মাহুতি দিতে হয়েছে, মরতে হয়েছে।’
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো, দ্রুত নির্বাচনী রূপরেখা ঘোষণাসহ বিভিন্ন দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই সমাবেশের আয়োজন করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি। এতে সভাপিতত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মামুন মাহমুদ।
সংসদ নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে অন্য কোনো নির্বাচন নয় উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘১৭ বছর রাজপথে লড়াই করেছি। আমাদের পাঁচ হাজার নেতা জীবন দিয়েছে। হাজার হাজার নেতা-কর্মী আহত অবস্থায় আছে। আমার মতো লোক আমি ১৩ বার জেল খেটেছি। এই মঞ্চে যারা আছে সবাই মামলা খেয়েছে, কমবেশি। এটা স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য নয়। এটা সংসদ নির্বাচনের জন্য।’
যারা স্থানীয় নির্বাচনের কথা বলছেন, তাঁদের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আপনাদের উদ্দেশ্য দুরভিসন্ধিমূলক। আপনাদের উদ্দেশ্য ষড়যন্ত্রমূলক। কোনো পরিস্থিতিতেই দেশের মঙ্গলের জন্য এটা আপনারা চান না।’
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান, মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, আজহারুল ইসলাম, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া, সাবেক মন্ত্রী রেজাউল করিম, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ–অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন, সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফ প্রমুখ।