বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নিহতের ঘটনায় বিক্ষোভ অব্যাহত

পাঁচ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অব্যাহত রেখেছেন। আজ বুধবার দুপুরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে
ছবি: সাইয়ান

গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইসমাইল খলিল ওরফে ইমন নিহতের ঘটনায় ক্ষতিপূরণসহ পাঁচ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অব্যাহত রেখেছেন।

আজ বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের পাশে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এর আগে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে গায়েবানা জানাজা করেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত সোয়া ১০টা পর্যন্ত একই দাবিতে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।

দাবিগুলোর মধ্যে আছে সাকুরা পরিবহন কর্তৃপক্ষকে নিহত ইসমাইল খলিলের পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া, ইসমাইলের চিকিৎসায় গাফিলতির বিচার করা, সাকুরা পরিবহনের রুট পারমিট সাময়িক বাতিল করা, প্রতিটি বাসকে জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের আওতায় এনে গতি পর্যবেক্ষণ করা, অতিরিক্ত গতির জন্য বাসচালককে জরিমানার আওতায় আনা ও স্পিডলক–ব্যবস্থা কার্যকর করা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন চলবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দাবি বাস্তবায়িত না হলে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
গত শনিবার রাতে বাসে করে ঢাকা থেকে বরিশালে যাচ্ছিলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের পঞ্চম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইসমাইল খলিল। ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মাধবপুরে সাকুরা পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে ইসমাইল খলিল গুরুতর আহত হন। তাঁকে উদ্ধার করে ফরিদপুরের শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল দুপুরে তিনি মারা যান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. খোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছি। আজও উপাচার্য তাঁদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। আগামীকাল সকাল ১০টায় সাকুরা পরিবহনের মালিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন। এরপর তাঁর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি এবং নিহত শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আলোচনা হবে। সেখান থেকে এসব দাবিদাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।’