সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশের সেনাসদস্য মো. শামীম রেজার (২৮) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের হোগলাডাঙ্গি গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
এর আগে বেলা দেড়টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি মরদেহবাহী হেলিকপ্টার কালুখালী উপজেলার মিনি স্টেডিয়ামে এসে পৌঁছে। সেখান থেকে মরদেহ গ্রামের বাড়ি হোগলাডাঙ্গিতে নিয়ে গেলে শোকের মাতম তৈরি হয়। পরিবারের সদস্য, এলাকাবাসীসহ উপজেলার সর্বস্তরের শত শত মানুষ শামীম রেজার মরদেহ শেষবারের মতো দেখতে সেখানে ভিড় করেন। বাড়িতে প্রায় ৩০ মিনিট রাখার পর সেখান থেকে পার্শ্ববর্তী পারিবারিক কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শামীম রেজার মরদেহে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও তাঁর সম্মানে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে বেলা ৩টা ২০ মিনিটের দিকে তাঁর লাশের দাফন সম্পন্ন হয়।
তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে শামীম রেজা ছিলেন সবার বড়। বাবা মো. আলমগীর ফকির স্থানীয় মসজিদের একজন খাদেম ছিলেন। শামীম রেজা দেড় বছর আগে বিয়ে করেন।
শামীম রেজার ভাই সোহেল ফকির বলেন, তাঁদের পরিবারের প্রধান উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন শামীম রেজা। তাঁর মৃত্যুতে পারিবারিকভাবে ভেঙে পড়েছেন সবাই।
জানাজা নামাজে মেজর মো. মোস্তফার নেতৃত্বে কালুখালী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামস সাদাত মাহমুদ উল্লাহসহ এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এ সময় শামীমের পরিবারের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন এলাকাবাসী।
আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৩ ডিসেম্বর সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের কাদুগলি লজিস্টিকস বেজে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী বর্বরোচিত ড্রোন হামলা চালায়। এ ঘটনায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত ও ৯ জন আহত হন।