রেললাইনের পাশেই ছিল দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা শহরের কেডিসি থেকে ফুলবাড়ি উপজেলার চক শাহবাজপুর পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক। চার মিটার প্রস্থের কাঁচা এ রাস্তা দিয়ে দুই দশক আগেও আট গ্রামের মানুষ চলাচল করত।
পাশ দিয়ে আরেকটি পাকা সড়ক নির্মাণ করা হলে কমে যায় ওই সড়কের গুরুত্ব। এরপর পাশের জমির মালিকেরা কোদাল দিয়ে কেটে রাস্তার একটু একটু অংশ নিজের জমির মধ্যে নিয়ে নেন। এভাবে জমিতে হারিয়ে যায় ওই রাস্তার ছয় কিলোমিটার অংশ।
‘ভূমি রেকর্ডের কাজ চলছে। যখন রেকর্ড বের হবে, তখন আমরা দেখব, সরকারের কোন কোন সম্পত্তি বেহাত হয়েছে। যেগুলো বেহাত হয়েছে, সেগুলোর জন্য আমরা কোর্টে মামলা দেব এবং রেকর্ড ঠিক করার জন্য ব্যবস্থা নেব।’পরিমল কুমার সরকার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি)
রাস্তাটি থাকলে এলাকার কৃষকদের অনেক উপকার হতো বলে মনে করেন উপজেলার খানপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আবদুর রউফ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘১৯৭২ সালে এলাকার মানুষের চলাচলের সুবিধার জন্য বেসরকারি সংস্থা কেয়ারের অর্থায়নে ও আমার তত্ত্বাবধানে রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়েছিল। ২০০৫ সালে ভূমি জরিপে বিএস ম্যাপে এ সড়ক রেকর্ডভুক্ত হয়নি। তখন থেকেই এক দশক ধরে পাশের জমির মালিকেরা এটি কাটতে কাটতে শেষ করেছে।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভূমি রেকর্ডের কাজ চলছে। যখন রেকর্ড বের হবে, তখন আমরা দেখব, সরকারের কোন কোন সম্পত্তি বেহাত হয়েছে। যেগুলো বেহাত হয়েছে, সেগুলোর জন্য আমরা কোর্টে মামলা দেব এবং রেকর্ড ঠিক করার জন্য ব্যবস্থা নেব।’