সরকারি প্রটোকলে ও জাতীয় পতাকাবাহী গাড়িতে এসে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন হুইপ সামশুল

সরকারি প্রটোকল নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেন জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী। আজ দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে
সৌরভ দাশ।

নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে জাতীয় পতাকাবাহী গাড়ি ও পুলিশ প্রটোকল নিয়ে এসে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী। তিনি চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। আওয়ামী লীগের বর্তমান এই সংসদ সদস্য এবার দলের মনোনয়ন পাননি। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া দুইটায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আসেন সংসদ সদস্য প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরী। এ সময় তাঁকে বহনকারী গাড়িতে জাতীয় পতাকা ছিল। সামনে ছিল চট্টগ্রাম নগর পুলিশের একটি গাড়ি।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালার ১৪ (১) ও ১৪ (২) ধারা অনুযায়ী, ‘সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তাহার সঙ্গে তাহার সরকারি কর্মসূচির সঙ্গে নির্বাচনী কর্মসূচি বা কর্মকাণ্ড যোগ করিতে পারিবেন না। আর সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তাহার নিজের বা অন্যের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় সরকারি যানবাহন, সরকারি প্রচারযন্ত্রের ব্যবহার বা অন্যবিধ সরকারি সুবিধাভোগ করিতে পারিবেন না।’

সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির মধ্যে আছেন প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, সরকারের মন্ত্রী, চিফ হুইপ, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা, বিরোধীদলীয় উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, হুইপ, উপমন্ত্রী বা তাঁদের সমপদমর্যাদার কোনো ব্যক্তি, সংসদ সদস্য এবং সিটি করপোরেশনের মেয়র। তবে মনোনয়নপত্র জমা শেষে হুইপ সামশুল হক চৌধুরী দাবি করেন, প্রটোকল ও পতাকা ব্যবহারে আচরণবিধি ভঙ্গ হয়নি। তিনি বলেন, ‘আমি শুধু জাতীয় পতাকা ও প্রটোকল নিয়ে আমার নির্বাচনী এলাকায় ঢুকতে পারব না।’

গত বুধবার তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ প্রটোকল ও জাতীয় পতাকা ছাড়াই গাড়ি করে এসে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ বিষয়ে হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কে কী বলেছেন বা করেছেন, তা আমি জানি না। তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, আমি শুধু আমার নির্বাচনী এলাকায় প্রটোকল পাব না, পতাকা পাব না। আমি এই পাঁচ বছরে সরকারি গাড়িতে চড়িনি। তেলও ব্যবহার করিনি। সুতরাং পতাকা ও প্রটোকল বন্ধ হবে আমার এলাকায় ঢুকলে।’

আচরণবিধি তফসিল ঘোষণার পর থেকে কার্যকর হয়েছে জানালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত সামশুল হক চৌধুরী বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর আচরণবিধি যদি কার্যকর হয়, তাহলে আমি এখনো পতাকা নিয়ে আমার এলাকায় ঢুকি নাই। এখনো আমাকে কিছু জানানো হয়নি। জানালে আর পতাকা নিয়ে ঢুকব না।’

এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।