হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষা ঢাকায়, এক দিন আগে খুদে বার্তা

হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে নিয়োগে মৌখিক পরীক্ষা ক্যাম্পাসে না হয়ে ঢাকায় হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

আজ সোমবার ঢাকায় এসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার এক দিন আগে চাকরিপ্রার্থীদের মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে পরীক্ষার দিন-ক্ষণ জানানো হয়। চাকরিপ্রার্থীদের প্রবেশপত্র না দিয়ে পরীক্ষার আগমুহূর্তে কেন্দ্র থেকে সংগ্রহ করতে বলা হয়। এসব নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। সেই সঙ্গে পরীক্ষা নেওয়ার ধরন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।

হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক পদে ৩৩ জন, সহকারী প্রকৌশলী ও উপসহকারী প্রকৌশলী পদে ৬, সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ ও প্রকাশনা) পদে ১, প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে ৩, সেকশন অফিসার পদে ৯, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট পদে ৯, ল্যাব টেকনিশিয়ান পদে ১, ইলেকট্রিশিয়ান পদে ১, ক্যাটালগার পদে ২, ফটোকপি অপারেটর পদে ৩, উপসহকারী খামার তত্ত্বাবধায়ক পদে ১, বাবুর্চি পদে ২, এটেনডেন্ট পদে ২, ফটোগ্রাফার পদে ১, অফিস সহায়ক পদে ১৪, নিরাপত্তা সুপারভাইজার পদে ১, সুপারিনটেনডেন্ট পদে ১ জনসহ মোট ৮০ জন নিয়োগের জন্য সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মাত্র একদিন আগে মুঠোফোনে খুদে বার্তায় পাঠিয়ে পরীক্ষার সময়সূচি ও স্থান বিষয়ে জানায়। এত কম সময় নিয়ে জানানোয় অনেক পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় যথাসময়ে অংশ নিতে পেরেছেন কি না সন্দেহ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে চাকরিপ্রার্থী এক নারী বলেন, আগে থেকে জানার চেষ্টা করি মৌখিক পরীক্ষা কবে, কোথায় হবে। কর্তৃপক্ষ বলেছিল, জানানো হবে যথাসময়ে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে রোববার জানাল পরীক্ষার দিনক্ষণ। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের দেওয়া হয়নি কোনো প্রবেশপত্র। কেন্দ্রে গিয়ে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে বলা হয়। এতে পরীক্ষার্থীদের হয়রানির শিকার হতে হয়েছে।

হবিগঞ্জ শহরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থাকার পরেও ঢাকায় মৌখিক পরীক্ষা নেওয়াকে রহস্যজনক বলে মনে করছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মিছবাউল বারী চৌধুরী। তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন পদে নিয়োগ নিয়ে লুকোচুরি করছে। দায়িত্বশীলদের উচিত বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা।

জানতে চাইলে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবদুল বাসেত বলেন, নিয়োগ বোর্ডে অনেক বিশেষজ্ঞ আছেন, যাঁরা ঢাকার বাইরে যেতে চান না। এ ছাড়া তাঁদের থাকার মতো সুবিধা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। যে কারণে ঢাকায় এ পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষার এক দিন আগে পরীক্ষার্থীদের সময়সূচি জানানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের কোনো অভিযোগ পরীক্ষার্থীরা আমাকে তো জানাননি।’