ধামরাইয়ে একই পরিবারের দগ্ধ চারজনের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু

প্রতীকী ছবি

ঢাকার ধামরাই উপজেলায় গ্যাসের লিকেজ থেকে পুরো ফ্ল্যাটে জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণে একই পরিবারের দগ্ধ হওয়া চারজনের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যজন ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মৃত ব্যক্তিরা হলেন নুরুল ইসলাম নান্নু মিয়া (৫৫), তাঁর স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৫০) ও তাঁদের ছেলে এইচএসসি পরীক্ষার্থী আল হাদী সোহাগ (১৮)। চিকিৎসাধীন রয়েছেন মেয়ে নিশরাত জাহান সাথী (২২)। এদিকে এক দিনের মধ্যে এক পরিবারের তিনজনের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ঢাকার ধামরাইয়ের বাইশাকান্দা ইউনিয়নের বাঘাইর গ্রামে।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গেছে যে গতকাল রোববার দুপুর ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুফিয়া মৃত্যুবরণ করেন। আজ সোমবার ভোর চারটার দিকে নুরুল ইসলাম ও বেলা ১১টার দিকে তাঁদের ছেলে আল হাদী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর মধ্যে সুফিয়ার শরীরের ৮০ শতাংশ, নুরুল ইসলামের ৪৮ শতাংশ ও আল হাদীর ৪৩ শতাংশ দগ্ধ ছিল। চিকিৎসাধীন নিশরাত জাহানের শরীরের ১৬ শতাংশ পুড়ে গেছে।

মৃতের স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নুরুল ইসলাম সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক হিসেবে কাজ করতেন। এক বছর আগে তিনি অবসরে যান। এর পর থেকে পরিবারসহ ধামরাই পৌর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত ২৭ মার্চ ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে সেই ভাড়া বাসায় লিকেজ থেকে জমা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণে তিন কক্ষের ফ্ল্যাটে আগুন লাগে। এতে পরিবারের চারজনই দগ্ধ হন। প্রথমে তাঁদের ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনজনের মৃত্যু হয়।

মৃত সুফিয়া বেগমের ভাই মজিবর রহমান বলেন, মরদেহ হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। তাঁদের গ্রামের স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হবে।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, দগ্ধ নুরুল ইসলাম, সুফিয়া বেগম ও আল হাদীর মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসাধীন অপরজনের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও তিনি শঙ্কামুক্ত নন।

এর আগে ২৭ মার্চ ওই ঘটনার পর ধামরাই ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সোহেল রানা বলেছিলেন যে সাহ্‌রির জন্য রান্না করতে গেলে তিন কক্ষবিশিষ্ট ফ্ল্যাটে গ্যাসের লিকেজ থেকে ফ্ল্যাটে জমে থাকা গ্যাসে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে একই পরিবারের ওই চারজন দগ্ধ হন।