কাঁঠাল নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ৪ ঘটনার ৭ দিন পর দুই পক্ষের মামলা, আসামি ১৬৩

সুনামগঞ্জ জেলার মানচিত্র

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় মসজিদে একটি কাঁঠাল নিলামকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে চারজন নিহত হওয়ার ঘটনার এক সপ্তাহ পর থানায় দুটি মামলা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে একটি এবং আজ সোমবার সকালে আরেকটি মামলা হয়। দুই মামলায় আসামি করা হয়েছে ১৬৩ জনকে।

এক সপ্তাহ পর থানায় মামলার খবরের সত্যতা প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু সাঈদ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে দায়ের করা মামলার বাদী হলেন হাসনাবাদ গ্রামের বাসিন্দা ফারুক আহমদ। এই মামলায় আসামি করা হয়েছে ৯৪ জনকে। গতকাল রাতে একই গ্রামের মো. তফজ্জুল হক বাদী হয়ে করা মামলায় ৬৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, ঘটনার পর গ্রেপ্তারের ভয়ে দুই পক্ষের পুরুষ মানুষ গ্রামছাড়া ছিলেন। মূলত ‘বাদী’ না পাওয়ার কারণেই মামলা দায়েরে দেরি হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

১০ জুলাই সকালে শান্তিগঞ্জ উপজেলার হাসনাবাদ গ্রামের মসজিদে দান করা একটি কাঁঠালের নিলামের জেরে মালদর আলী ও দ্বীন ইসলাম পক্ষের লোকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ৪ জন নিহত হন। আহত হন ২০ জন। নিহত ৪ জন হলেন হাসনাবাদ গ্রামের নজরুল ইসলাম, বাবুল মিয়া, শাহজাহান মিয়া ও মোখলেছুর রহমান। দ্বীন ইসলাম পক্ষের নজরুল ও বাবুল এবং শাহজাহান ও মোখলেছ হলেন মালদর আলী পক্ষের।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, সংঘর্ষের আগে ৭ জুলাই শুক্রবার জুমার নামাজের পর হাসনাবাদ গ্রামের মসজিদে একজনের দান করা একটি কাঁঠাল নিলামে বিক্রি হয়। ২৫০ টাকা সর্বোচ্চ দরে এটি কেনেন মালদর আলী পক্ষের খসরু মিয়া। পর মুহূর্তে দ্বীন ইসলাম পক্ষের আবদুল বাহার সবাইকে থামিয়ে দেন। তাঁর দাবি, নিলাম ডাক নিচু স্বরে বলায় তিনি শুনতে পাননি।

তিনি কাঁঠালটি আরও বেশি দাম দিয়ে কিনতে আগ্রহী। তাই আবার নিলাম ডাকের দাবি করেন তিনি। এ নিয়ে খসরু ও বাহারের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। পরে মুরব্বিরা তাঁদের শান্ত করে বিদায় করে দেন। পরে দ্বীন ইসলাম ও মালদর আলীর পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটে।