ট্রাক্টর উল্টে মামা ও দুই ভাগনের মৃত্যুতে আহাজারি করছেন স্বজনেরা। শনিবার সন্ধ্যায় মাদারীপুর সদর হাসপাতালে
ছবি: প্রথম আলো

মাদারীপুরে ঘুরতে বের হয়ে ট্রাক্টর উল্টে পানিতে ডুবে দুই ভাগনে ও এক মামার মৃত্যু হয়েছে। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় ট্রাক্টরচালক অপর মামাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যায় মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের পশ্চিম মাদ্রা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া তিনজন হলেন মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের মাদ্রা এলাকার জহিরুল ফরাজী (২৫) এবং তাঁর দুই ভাগনে জুবায়ের ফরাজী (১১) ও জিহাদ ফরাজী (৭)। এদের মধ্যে জহিরুল ফরাজী আবদুল জলিল ফরাজীর ছেলে। জুবায়ের ও জিহাদের বাবার নাম কালু ফরাজী। গুরুতর আহত তাদের অপর মামার নাম আসাদ ফরাজী (৩৫)।

মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক নুর মোহাম্মদ বলেন, দুর্ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ পানিতে ডুবে থাকার কারণেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।

স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফসলি জমিতে কাজ শেষে শনিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ট্রাক্টরে করে দুই ভাগনে জুবায়ের ও জিহাদ ও ছোট ভাই জহিরুলকে নিয়ে ঘুরতে বের হন আসাদ ফরাজী। সদর উপজেলার মাদ্রা এলাকায় এলে হঠাৎ ট্রাক্টরটি উল্টে সড়কের পাশে একটি পুকুরে পড়ে যায়। এ সময় জুবায়ের, জিহাদ ও জহিরুল ছিটকে পড়ে পুকুরের পানিতে তলিয়ে যান। এতে ট্রাক্টরচালক আসাদ ফরাজী ছিটকে সড়কে পড়ে যান। স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে এসে তল্লাশি শুরু করেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে উদ্ধার অভিযান চালান। এক ঘণ্টা পর পানি থেকে তোলা হয় জুবায়ের, জিহাদ ও জহিরুলকে। পরে মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।

সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা শিহাব চৌধুরী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিশুসহ তিনজনকে হাসপাতালে আনা হয়। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত আসাদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, মামা ও দুই ভাগনের লাশ সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ দুর্ঘটনায় আহত অপর একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুরে পাঠানো হয়েছে।