কোম্পানীগঞ্জে ভাতিজার হাতের কবজি কেটে ফেলার অভিযোগ চাচার বিরুদ্ধে
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে হেলাল আহমদ (৩৫) নামের এক ব্যক্তির ডান হাতের কবজি কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর চাচার বিরুদ্ধে।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার কাঁঠালবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হেলাল আহমদ কাঁঠালবাড়ী গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে রাজধানী ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) নেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। তাঁরা হলেন হেলাল আহমদের চাচা খুরশিদ মিয়া ও তারা মিয়া। তবে মূল অভিযুক্ত হাসান মিয়া পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কাঁঠালবাড়ী গ্রামের জসিম উদ্দিনের সঙ্গে তাঁর চার ভাই হাসান মিয়া, খুরশিদ মিয়া, তারা মিয়া ও ইছাক মিয়ার জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। সোমবার দুপুরে বিরোধপূর্ণ জমিতে ফসল আবাদের কাজ করছিলেন জসিম উদ্দিনের ছেলে হেলাল আহমদ, ইসলাম উদ্দিন ও সাগর। খবর পেয়ে চাচারা গিয়ে জমি থেকে তাঁদের তাড়িয়ে দেন।
এর কিছুক্ষণ পর ১০-১২ জন সহযোগী নিয়ে হেলালের ওপর অতর্কিত হামলা চালান তাঁর চাচা হাসান মিয়া। তাঁরা হেলালকে এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে আহত করেন। এ সময় হাসান মিয়া রামদার কোপে হেলালের ডান হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। খবর পেয়ে এগিয়ে আসেন হেলালের ভাই ইসলাম উদ্দিন ও সাগর, বোন লাকী আক্তার ও তাঁদের বাবা জসিম উদ্দিন। হামলাকারীরা তাঁদেরও পিটিয়ে আহত করেন।
হেলাল আহমদ, ইসলাম উদ্দিন ও সাগরকে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে হেলাল আহমদকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে জসিম উদ্দিন (৭০) প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভাইদের সঙ্গে ৪৫ শতক জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে আমার। আজ আমার ছেলেরা ওই জমিতে ফসল আবাদের কাজ করতে গেলে ভাইয়েরা বাধা দেয়। একপর্যায়ে তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার ছেলেদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং আমার বড় ছেলের ডান হাতের কবজি কেটে ফেলে। তাকে প্রথমে এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’
এ ঘটনায় অভিযুক্ত হাসান মিয়া পলাতক থাকায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, আপন চাচা তাঁর ভাতিজার হাতের কবজি কেটে ফেলেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ খুরশিদ মিয়া ও তারা মিয়া নামের দুজনকে আটক করেছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।