দুর্গন্ধের কারণ খুঁজতে গিয়ে শালবনের ভেতর মিলল লাশ

লাশ
প্রতীকী ছবি

তীব্র দুর্গন্ধ আসছিল শালবনের ভেতর থেকে। গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে স্থানীয় লোকজন বনের ভেতর গিয়ে দেখতে পান একটি লাশ পড়ে আছে। ওই লাশ দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। লাশের গায়ে থাকা কাপড় দেখে ওই ব্যক্তির পরিচয় প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।

আজ রোববার সকালে গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা ইউনিয়নের সিমলাপাড়া গ্রামের নাককুরচালা এলাকায় শালবনে লাশটির খোঁজ মেলে। থানা-পুলিশ সূত্র জানায়, লাশের পাশে পাওয়া গেছে বিষের বোতল। পচে-গলে যাওয়া লাশের গায়ে ছিল সাদা গোলগলার গেঞ্জি। লাশের খোঁজ পাওয়ার ঘণ্টা দু-একের মধ্যেই প্রাথমিকভাবে ওই ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত হয়েছে।‌ লাশটি মাওনা ইউনিয়নের সিংগারদিঘী গ্রামের মো. বারেক মিয়ার (৭৫)। বারেক মিয়ার ছেলে হুমায়ূন কবির ও রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে লাশটি শনাক্ত করেছেন।

স্বজনদের বরাত দিয়ে থানা-পুলিশ সূত্র জানায়, গত ১১ এপ্রিল বারেক মিয়া বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। বিভিন্ন কারণে তিনি অস্থিরতায় ভুগছিলেন। রাতে ফিরে না এলে স্বজনেরা তাঁকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেন। বনে লাশ পাওয়ার খবর পেয়ে বারেকের স্বজনেরা ঘটনাস্থলে চলে আসেন। লাশের গায়ের পোশাক ও অন্যান্য আলামত দেখে লাশটি বারেক মিয়ার বলে নিশ্চিত হন।

সিমলাপাড়া এলাকার মো. ইব্রাহিম মিয়া বলেন, বনের পাশের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দুর্গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। পরে পথচারীরা বনের ভেতর ঢুকে দেখেন মানুষের একটি লাশ পড়ে আছে। লাশের শরীরের বিভিন্ন অংশ ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন। দেখে মনে হয়েছে শিয়ালে টেনেহিঁচড়ে খেয়েছে। এরপর গ্রামের অন্য লোকজনকে খবর দেওয়া হয়। লাশটি এতটাই পচে গেছে যে দেখে চেনার উপায় নেই।

মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিন্টু মিয়া বলেন, প্রাথমিকভাবে স্বজনেরা লাশ শনাক্ত করেছেন। ঘটনাস্থলে বিষের বোতল পাওয়া গেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।