নরসিংদীতে এক তরুণকে পাঁচ দিন আটকে রেখে নির্যাতনের পর হত্যার অভিযোগ

হত্যাপ্রতীকী ছবি

নরসিংদীতে মাদক ব্যবসায়ীর বাড়িতে পাঁচ দিন আটকে রেখে এক তরুণকে নির্যাতনের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার বেলা ১১টায় সদর উপজেলার শিলমান্দী ইউনিয়নের বাগহাটার টেকপাড়া গ্রামের ওই বাড়ি থেকে নিহত তরুণের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মাদক ব্যবসার দ্বন্দ্বে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ ধারণা করছে।

নির্যাতনে নিহত ওই তরুণের নাম মো. সাজিদ হোসেন (২২)। তিনি নরসিংদী সদর উপজেলার শিলমান্দী ইউনিয়নের বাগহাটার টেকপাড়া গ্রামের মো. আবদুল আজিজের ছেলে। অন্যদিকে নির্যাতন করে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ওই মাদক ব্যবসায়ীর নাম দুলাল মিয়া (৩০)। তিনি উপজেলার টেকপাড়া এলাকার আতাউর রহমানের ছেলে।

নিহত তরুণের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় লোকজন বলেন, একাধিক মামলার আসামি মাদক ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া প্রলোভন দেখিয়ে সাজিদকে মাদক ব্যবসার সহযোগী বানান। পাঁচ দিন ধরে সাজিদ বাড়ি ফিরছিলেন না। গতকাল রাতে সাজিদের খবর নিতে দুলালের বাড়িতে যান তাঁর মা মুসলেমা বেগম। এ সময় তাঁর উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়িতে তালা লাগিয়ে দ্রুত পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পালিয়ে যান দুলাল মিয়া।

পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় স্বজনেরা তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে সাজিদের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে আজ সকালে শেখেরচর ফাঁড়ি ও নরসিংদী মডেল থানার পুলিশ ওই বাড়ি থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

নিহত সাজিদের মা মুসলেমা বেগম বলেন, তাঁদের একমাত্র ছেলে সাজিদ। তাঁকে পাঁচ দিন ধরে নির্যাতন করা হয়েছে। তাকে বাঁচাতে ৫০ হাজার টাকা চেয়েছিলেন দুলাল। টাকা না থাকায় দুলাল বাড়ির দলিল চেয়েছিলেন। গতকাল রোববার বিকেলের দিকে দুলালের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি, কিন্তু ছেলেকে দেখতে দেওয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত ছেলেকে নির্যাতন করে হত্যা করা হলো।

নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার শিকার তরুণ এবং অভিযুক্ত মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে একাধিক মাদকসংশ্লিষ্ট মামলা আছে। তবে কী কারণে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, তা তদন্ত শেষে বলা যাবে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি বলে জানান তিনি।