‘শুধু রাজনীতি নয়, জনকল্যাণই আমার মূল উদ্দেশ্য’
ভোলার চরফ্যাশনে বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজ করছেন ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। তিনি গ্রামীণ সড়ক উন্নয়নের পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গণসংযোগের মাধ্যমে বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচি এলাকাবাসীর কাছে তুলে ধরছেন।
আজ শনিবার বেলা তিনটায় চরফ্যাশন উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভুলাকান্দি-শাহে আলম সরদার-উত্তরের খাল সড়কের উন্নয়নকাজের উদ্বোধন করেন। প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কটি স্থানীয়ভাবে দীর্ঘদিন অবহেলিত ছিল। চরফ্যাশনের বিভিন্ন ইউনিয়নে মোট ৫০ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে আমি মাঠে নেমেছি। শুধু রাজনীতি নয়, জনকল্যাণই আমার মূল উদ্দেশ্য। গ্রামের উন্নয়ন না হলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।’
এর আগে ছিদ্দিক উল্লা চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলায় ১০ হাজার মানুষের চক্ষু চিকিৎসা, প্রতিবন্ধীদের সেবা ও দরিদ্র পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণসহ বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এবার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে মানুষের চলাচল সহজ করতে কাজ শুরু করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, ১৯৭০ সালের পর থেকে এই সড়কে কেউ মাটি ফেলেনি। বর্ষায় ডুবে থাকত। কিন্তু ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া কথা দিয়েই কাজ শুরু করেছেন। আরেক বাসিন্দা আবু তাহের বলেন, সড়কটির উন্নয়ন হলে দুই হাজার পরিবার উপকৃত হবে।
এদিকে গতকাল শুক্রবার দিনব্যাপী গণসংযোগ ও ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেন আইনজীবী ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। সকালে উপজেলার কলমী ইউনিয়নের উঠান বৈঠকে স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময়, জুমার নামাজ পড়ে মসজিদে অনুদান দেওয়ার পর বিকেলে নজরুল নগর ও চর কলমী ইউনিয়নে আরও দুটি উঠান বৈঠকে অংশ নেন। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি দক্ষিণ সুলিজ, বক্তির বাজার ও দালাল বাজার এলাকায় বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেন। এতে স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
গণসংযোগকালে ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কৃষি খাতে যে বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন, আমি চাই তার ধারাবাহিকতায় কৃষকদের উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি করতে। চরফ্যাশন ও মনপুরার প্রতিটি পরিবারে অন্তত একজন সদস্য যেন বিদেশে প্রশিক্ষণ নিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ পায়—এটাই আমার লক্ষ্য।’ তিনি বলেন, সন্তানদের শিক্ষার প্রতি যত্নবান হতে হবে। এখন উপজেলা পর্যায় থেকেই স্নাতক পর্যন্ত পড়াশোনা সম্ভব।