ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদি হত্যার বিচার, সাংবাদিক নূরুল কবীরের ওপর হামলা, দুই গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুর ও ভালুকায় পোশাকশ্রমিককে পুড়িয়ে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর।
শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরের প্রেসক্লাব চত্বরে আয়োজিত এই বিক্ষোভ ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণসংহতি আন্দোলনে চট্টগ্রাম মহানগর সমন্বয়কারী চিরন্তন চিরু। সঞ্চালনা করেন নির্বাহী সমন্বয়কারী মো. মোরশেদুল আলম।
সমাবেশে বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের উত্তর জেলার সমন্বয়কারী নাসির উদ্দিন তালুকদার, নির্বাহী সমন্বয়কারী জাহিদুল আলম, মহানগর সংগঠক নুরুন নেছা মুন্নি, মো. সোহাগ, সাহাবু উদ্দিন খান, মো. মামুন, ছাত্র ফেডারেশনের নেতা আরিফুল হক, শওকত ওসমান, পালাশ দে ও বিভিন্ন গণসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
এতে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি দেশে সংঘটিত ধারাবাহিক সহিংসতার ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা রহস্যজনকভাবে নীরব। এই নীরবতা নিন্দনীয় ও হতাশাজনক। বক্তাদের অভিযোগ, সরকারের এই অবস্থান গণমাধ্যমকে আতঙ্কে রেখে চুপ করিয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
বক্তারা বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ছায়ানটের মতো প্রতিষ্ঠানে পরিকল্পিত হামলা চালানো হয়েছে। শহীদ ওসমান হাদির মৃত্যুর ঘটনায় সারা দেশে যখন শোক ও বিচারের দাবি চলছিল, তখন সেই পরিস্থিতিকে পুঁজি করে এই হামলা চালানো হয়েছে। এসব ঘটনায় জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
বান্দরবানে সংবাদ সম্মেলন
বান্দরবানের গণসংহতি আন্দোলন শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা ও বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনায় তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছে। জেলা শহরের গণসংহতি আন্দোলনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন গণসংহতির জেলা নির্বাহী সমন্বয়কারী ও সংসদ সদস্য প্রার্থী রিপন চক্রবর্তী।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গণমাধ্যমে হামলা ও ভাঙচুর শহীদ শরিফ ওসমান হাদির চেতনার পরিপন্থী। তাঁরা শহীদ হাদির চেতনা ধারণ করে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি করেন।