নওয়াপাড়া থেকে চুরি যাওয়া ৭৯ মেট্রিক টন ডিএপি সার উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৯
যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া নৌবন্দর থেকে চুরি হওয়া ১২০ মেট্রিক টন ডিএপি সারের মধ্যে ৭৯ মেট্রিক টন সার উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল সোমবার ও আজ মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে এসব সার উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে চুরির ঘটনায় জড়িত অভিযোগে নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ বিকেলে জেলা পুলিশের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে ১০ সেপ্টেম্বর নওয়াপাড়া নৌবন্দরে ছোট জাহাজ থেকে ১২০ মেট্রিক টন ডিএপি সার চুরি হয়ে যায়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন অভয়নগর উপজেলার বাহিরঘাট গ্রামের হুমায়ুন কবির (৩৫), নওয়াপাড়া গ্রামের সোহাগ হোসেন (৩০) ও ধোপাদী গ্রামের তরিকুল ইসলাম (২৫), ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার তারাবুনিয়া গ্রামের অনিমেষ শিকদার (৩৫), খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কলমিগুনিয়া গ্রামের ভূপাল সরকার (২৭), পিরোজপুর সদর উপজেলার পশ্চিম শিকারপুর গ্রামের ফয়সাল মোরশেদ (৩০), একই উপজেলার ঝাটকাঠি গ্রামের লিখন সরকার (৩৯), কুমিরমারা গ্রামের আক্কাছ আলী শিকদার (৪২) এবং বাগেরহাটের মংলা উপজেলার মেছেরশাহ সড়কের পারভেজ আহম্মেদ (২৭)।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারের ভর্তুকি দেওয়া ডিএপি সার আমদানির দরপত্র পায় যশোরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স আফিল ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল। প্রতিষ্ঠানটি চীন থেকে ১ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানি করে। জাহাজে করে মোংলা বন্দরে সার আনার পর ওই সার দুটি ছোট জাহাজে (লাইটার) করে যশোরের নওয়াপাড়া নৌবন্দরে আনা হয়। ১০ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে বন্দরে নোঙর করার আগে দুই জায়গায় জাহাজের কর্মীদের সহায়তায় অজ্ঞাত চোরেরা ১২০ মেট্রিক টন সার চুরি করে নিয়ে যায়।
যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপন কুমার সরকার জানান, এ ঘটনায় ১৪ সেপ্টেম্বর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অভয়নগর থানায় একটি মামলা করা হয়। এরপর সার উদ্ধার ও জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পুলিশ। গতকাল ও আজ যশোর, বাগেরহাট, পিরোজপুর, গোপালগঞ্জ এবং ঝিনাইদহে অভিযান চালিয়ে নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রূপন কুমার সরকার বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, চুরি হওয়া ১২০ মেট্রিক টন সারের মধ্যে ৭৯ মেট্রিক টন (১ হাজার ৬৬৬ বস্তা) সার উদ্ধার করা হয়েছে। আজ আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।