জয়পুরহাটে তরুণ হত্যার দায়ে মা-ছেলেসহ পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড

আদালত
প্রতীকী ছবি

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় আবু হোসেন নামের এক তরুণকে হত্যার দায়ে মা–ছেলেসহ পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচজন হলেন পাঁচবিবি উপজেলার দরগাপাড়া গ্রামের নারী আমিনা বেগম (৪৯) ও তাঁর ছেলে রাফিউল (৩২), কোকতারা গ্রামের মোজাফফর হোসেন (৪৯), গোলাম রব্বানী (৩৪) ও তাঁর মা সাহিদা বেগম (৪৮)। তাঁদের মধ্যে দণ্ডপ্রাপ্ত চারজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আমিনা বেগম পলাতক রয়েছেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, পূর্বশত্রুতার জেরে ২০১০ সালের ২৫ মার্চ সকাল ৯টায় পাঁচবিবি উপজেলার দরগাপাড়া গ্রামে বাড়ির উত্তর পাশে পুকুরের দক্ষিণ পাড়ে খড়ের পালা থেকে খড় খোলার সময় আবু তাহেরের ওপর আসামিরা হামলা করেন। সেই হামলা ঠেকাতে আবু তাহেরের ছেলে আবু হোসেন এগিয়ে যান। সে সময় হামলাকারীরা আবু হোসেনকেও বেধড়ক পেটান। স্থানীয় লোকজন আবু হোসেনকে উদ্ধার করে পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে নেন। পরে তাঁকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে আবু হোসেনকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

এ ঘটনায় আবু তাহের একই বছরের ৩ এপ্রিল পাঁচবিবি থানায় নয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ ও শুনানি শেষে আদালত এই পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ছিলেন নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল, গকুল চন্দ্র মণ্ডল, শামীমুল ইসলাম ও খাজা শামসুল ইসলাম। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান।

কৌসুঁলি নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, পারিবারিক বিরোধের জেরে ওই তরুণকে হত্যা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় করা মামলার পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।