ভোলা পৌরসভার কর্মীদের বিক্ষোভ, ‘সন্ত্রাসীদের ধরে দে, নইলে গাড়ি কিনে দে’ স্লোগান

ভোলা পৌরসভার কর্মচারীদের ওপর হামলা ও তিনটি ডাম্প ট্রাক পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ভোলা প্রেসক্লাব চত্বরেছবি: প্রথম আলো

ভোলা পৌরসভার কর্মচারীদের ওপর হামলা ও তিনটি ডাম্প ট্রাক পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার এক মাস পরও আসামিরা গ্রেপ্তার হয়নি। এর প্রতিবাদে পৌরসভার কর্মচারীরা আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ভোলা প্রেসক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন। পরে তাঁরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন।  

পৌরসভার কর্মচারীরা সকালে মিছিল নিয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। পরে প্রেসক্লাব চত্বরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় কর্মচারীদের অনেকেই স্লোগান দেন, ‘সন্ত্রাসীদের ধরে দে, নইলে গাড়ি কিনে দে।’

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন পৌরসভা কর্মচারী ফেডারেশনের উপদেষ্টা সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদসহ অনেকে। পরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এতে দ্রুত আসামি গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা জানান, ২৫ অক্টোবর ভোলা পৌরসভার নতুনবাজার এলাকায় পৌর কর্তৃপক্ষের ৩১ শতাংশ জমি দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। ওই সময় দুলাল নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত পৌরসভার কর্মচারী ও তিনটি গার্বেজ ট্রাকের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে ট্রাকগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতি হয় এবং একাধিক কর্মী আহত হন। পরদিন ভোলা মডেল থানায় দুলালসহ ২৪ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। তবে এখনো কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি।

আরও পড়ুন

পৌরসভার কর্মচারীরা জানান, তাঁরা চাইলে ধর্মঘটে যেতে পারতেন। এতে শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পুরোপুরিভাবে ভেঙে পড়ত। নাগরিক সেবার কথা ভেবে তাঁরা তা করেননি। তবু পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে গড়িমসি করছে। কর্মচারীরা হুঁশিয়ারি দেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার না হলে তাঁরা কঠোর আন্দোলনে নামবেন।

পৌরসভার সচিব আবুল কালাম আজাদ জানান, নতুনবাজার এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ দখলদারদের কারণে কিচেন মার্কেট চালু করা সম্ভব হয়নি। ফলে পৌরসভা বড় ধরনের আর্থিক সংকটে পড়েছে। কর্মীদের বেতন দিতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। ফুটপাত দখল করে কিছু চক্র লুটপাট চালাচ্ছে। অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও জনস্বার্থে পরিচালিত কর্মকাণ্ডে সন্ত্রাসী হামলা বরদাশত করা হবে না। সেই সঙ্গে দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করতে হবে।