চরফ্যাশনে এনসিপির ব্যানার টাঙানো আওয়ামী লীগের সেই কার্যালয়ের সংস্কার চলছে

সংস্কারের অংশ হিসেবে ভবনটিতে লাগানো হয়েছে নতুন দরজা। আজ সোমবার বিকেলে ভোলার চরফ্যাশন পৌরসভার কলেজ রোডেছবি: সংগৃহীত

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সাইনবোর্ড টাঙানোর পর সংস্কারকাজ করা হচ্ছে। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতননের পর কার্যালয়টির আসবাবপত্র ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। তখন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা জানালার কাচ ভেঙে, দরজা খুলে নিয়ে যান। এর পর থেকে কার্যালয়টি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল।

গত শনিবার দুপুরে চরফ্যাশন পৌরসভার কলেজ রোডে আওয়ামী লীগের তিনতলা ওই ভবন দখলের পর এনসিপির সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেওয়া হয়। এরপর আজ সোমবার সংস্কারকাজ শুরু হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকালের দিকে ভবনের প্রবেশপথে কয়েকটি নতুন দরজা লাগানো হয়েছে। কার্যালয়ের ভেতরে এখনো ডেকোরেটর থেকে ভাড়া করা চেয়ার-টেবিল বসানো আছে। নিচতলায় চায়ের দোকান বসানো আছে। তবে জানালাগুলো এখনো খালি আছে। সেগুলো সংস্কার হয়নি।

ভোলার চরফ্যাশনে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় দখলে নিয়ে এনসিপির সাইনবোর্ড টানিয়ে দেওয়া হয়
ছবি: সংগৃহীত

জানতে চাইলে কার্যালয় দখলে নেতৃত্ব দেওয়া এনসিপি কর্মী ওয়াহিদ ফয়সাল বলেন, এ ভবনটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। বসার মতো পরিবেশ ছিল না। বসার পরিবেশ তৈরি করতে হলে কিছু সংস্কার করতে হয়। তাই দরজাগুলো লাগানো হচ্ছে। এটা প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া কিছু নয়।

এক প্রশ্নের জবাবে ওয়াহিদ ফয়সাল বলেন, ‘এখন আমাদের কোনো কার্যক্রম নেই, কেন্দ্রের কোনো নির্দেশনা আসেনি। তবে এখন যেহেতু একটি বসার স্থান হয়েছে। সবাই এখন নিয়মিত এক স্থানে বসা যাবে।’

এ ঘটনায় নানা সমালোচনা হলেও এনসিপির স্থানীয় কর্মী–সংগঠকেরা বলছেন, ২০১১-১২ সালের দিকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে এই ভবন নির্মাণ করেছে। এই জমির অর্ধেক মানুষের রেকর্ডীয় সম্পত্তি (চান্দিনা ভিটা) এবং বাকি অর্ধেক সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত সম্পত্তি। এনসিপির কার্যালয় স্থাপনের আগে তাঁরা জমির প্রকৃত মালিকের সঙ্গে কথা বলে নিয়েছেন এবং সরকারি অংশ লিজ নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।

আরও পড়ুন