কিছু রাজনৈতিক দল আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে: কৃষিমন্ত্রী

‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে। একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। জনগণ ও রাজনৈতিক দল এতে অংশগ্রহণ করবে। দেশে কিছু বড় রাজনৈতিক দল হুমকি দিচ্ছে, আন্দোলন করবে, সংগ্রাম করবে। এটা নির্বাচিত সরকার। আমাদের মৌলিক দায়িত্ব দেশে শান্তি বজায় রাখা। দেশে সংবিধান অনুযায়ী সময়মতো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। বিএনপি বা কেউ নির্বাচনে না এলে তাতে কিছু যায় আসে না।’

‘আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই জানা যাবে বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি না। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। বিএনপি না এলেও নির্বাচন আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা পাবে। একাত্তরের স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আগামী নির্বাচন বানচাল করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করছে। বাংলাদেশ থেকে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি, একাত্তরের স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী শক্তি এবং সন্ত্রাসী ও জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো নির্মূল করা হবে।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে শনিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা বলেন। টাঙ্গাইল শহর ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ এ সভার আয়োজন করে।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর আসবে না। আন্দোলনের নামে বিএনপি ২০১৫ সালের মতো তাণ্ডব সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। জনগণের মধ্যে বিএনপির ভিত্তি নেই। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বিএনপির শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং বিএনপির অস্তিত্বের স্বার্থে তাদের নেতৃবৃন্দ একটা পর্যায়ে গিয়ে নির্বাচনে আসতে বাধ্য হবে।’

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার পর থেকেই এ অপশক্তি, অসাংবিধানিক শক্তি, স্বৈরাচারীরা দেশ পরিচালিত করে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিলুপ্ত করার চেষ্টা করে। যে ধারায় পাকিস্তান চলত, সেই ধারায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এর বিরুদ্ধে আমরা সংগ্রাম-লড়াই করছি।

আমাদের সবাইকে ধর্মান্ধদের বিরুদ্ধে সচেতন থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অনেক উন্নত হয়েছে। তবে সব মানুষের জীবনকে উন্নত করতে হলে দেশকে আরও উন্নত করতে হবে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জনগণ আবার শেখ হাসিনাকেই ক্ষমতায় আনতে হবে। আগামী নির্বাচনে জনগণ আবার আওয়ামী লীগকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবে।’

টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র এইচ এম সিরাজুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম, সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আশরাফুজ্জামান স্মৃতি, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনসারী, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হোসেন, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ রৌফ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন খান প্রমুখ।

আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম।