ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গায় ট্রেন যাবে আগামী বছরের জুনের মধ্যে: রেলমন্ত্রী

পদ্মা সেতু রেল প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম। আজ শুক্রবার দুপুরে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে
ছবি: প্রথম আলো

রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলবে। পর্যায়ক্রমে এর পরিধি বাড়ানো হবে। আজ শুক্রবার দুপুরে মুন্সিগঞ্জে মাওয়ায় পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

মো. নূরুল ইসলাম বলেন, ‘আগামীকাল শনিবার সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের বৈঠক আছে। আশা করছি এ মাসে কিংবা এই সপ্তাহের মধ্যেই সেতুর ওপর কাজ করার (রেলপথের) অনুমতি পাব।’

পদ্মা সেতুর ওপরের সড়কের কাজের জন্য রেলপথের নির্মাণে দেরি হয়েছে জানিয়ে নূরুল ইসলাম বলেন, চলতি মাসেই পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ শুরু করার আশা রয়েছে। সে পরিকল্পনায় আছে ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত একটি অংশ, মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত একটি অংশ এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত আরেকটি অংশ। তিনি জানান, ঢাকা-ভাঙ্গা রেল সংযোগ প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৬১ শতাংশ এগিয়েছে। ২০২৪ সালের ৩০ জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। প্রকল্পটি সময়মতো বাস্তবায়ন করতে তিন ভাগে কাজগুলো করতে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত কাজ এগিয়েছে ৬৪ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ, মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮০ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত ৯১ শতাংশ। ভাঙ্গা পুরোনো রেলস্টেশন পর্যন্ত পথটি চালু হলে রাজবাড়ী হয়ে পুরোনো পথ ধরে কুষ্টিয়া ও যশোর হয়ে খুলনা যেতে পারবে ট্রেন। যাওয়া যাবে বেনাপোল পর্যন্ত কয়েকটি জেলায়।

পদ্মা বহুমুখী সেতু ও রেল সংযোগ প্রকল্পের কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্টের প্রধান সমন্বয়ক মেজর জেনারেল এফ এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ শুরু হলে ছয় মাস সময় লাগবে। এ সময় সড়কপথে যান চালালে কোনো প্রভাব পড়ে কি না, তা পর্যবেক্ষণ করবেন তাঁরা। এ জন্য বিশেষজ্ঞ প্যানেল নিয়োগ করা হয়েছে। সেতু কর্তৃপক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নকশা অনুযায়ী ভাইব্রেশনের (কম্পন) কোনো প্রভাব থাকবে না। সেটি তাঁরা পরীক্ষা করে দেখবেন।

সেতুতে রেলের কাজ চলার সময় সড়কপথে যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে কি না জানতে চাইলে এফ এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘সেটা নেই। তবে কতগুলো অপশন থাকতে পারে, যদি ভাইব্রেশন বেশি হয়, প্রয়োজন হলে গাড়ির গতিসীমা কম করা যেতে পারে। বিষয়টি পরামর্শক দলের সঙ্গে কথা বলে নির্ধারণ করা হবে।’

রেলমন্ত্রীর পরিদর্শনের সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, প্রধান সমন্বয়ক মেজর জেনারেল এফ এম জাহিদ হোসেন, প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আফজাল হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।