মহাপরিচালক পদের নিয়োগ নিয়ে প্রতিবাদ, অবস্থান কর্মসূচি

কক্সবাজারস্থ বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা কেন্দ্রের মহাপরিচালক পদে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে নিয়োগের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচি। আজ দুপুরে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনছবি: প্রথম আলো

কক্সবাজারে গড়ে তোলা দেশের একমাত্র সমুদ্রবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটে (বোরি) মহাপরিচালক পদে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা কমোডর মো. মিনারুল হককে নিয়োগ দেওয়ার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আজ বুধবার দুপুরে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। সমাবেশে বক্তারা দাবি আদায় না হলে কর্মবিরতিসহ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।

এর আগে ৯ অক্টোবর প্রতিষ্ঠানের ৫২ কর্মকর্তা-কর্মচারী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বরাবর স্মারকলিপি পাঠিয়ে মহাপরিচালক পদে সংশ্লিষ্ট গবেষক নিয়োগের দাবি জানান।

গবেষণাকেন্দ্র সূত্র জানায়, অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক ড. তৌহিদা রশীদকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর স্থলে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা কমোডর মো. মিনারুল হককে নিয়োগ দিয়ে ৭ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়।

আজ শহীদ মিনারের প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন কেন্দ্রের সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার আবু সাঈদ মো. শরীফ, মো. মাহবুব ই কিবরিয়া, সায়েন্টিফিক অফিসার মীর কাসেম, তারিয়া ইসলাম প্রমুখ। কর্মসূচিতে ৬০ কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেন।

বক্তারা বলেন, সম্প্রতি দেশে সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্মকর্তার পদে পরিবর্তন আনা হচ্ছে, যা সরকারের একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। কিন্তু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত সমুদ্র গবেষণার মতো জটিল ও নিবিড় সায়েন্টিফিক কাজে একজন সামরিক কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হলে গবেষণাপ্রতিষ্ঠানটি স্থবির হয়ে পড়বে এবং প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা হারাবে।

বিজ্ঞানী, গবেষক, একাডেমিশিয়ান বা সিভিল প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।