বিএনপির ‘শিক্ষিত’ নেতারা কেন ‘অশিক্ষিতের’ মতো কথা বলছেন, প্রশ্ন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশের সব অর্জন আওয়ামী লীগের হাত দিয়েই অর্জিত হয়েছে। ৭৫ বছরের কণ্টকাকীর্ণ পথচলায় আওয়ামী লীগ সব সময় অগণতান্ত্রিক ও অপশক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে এবং তাদের চক্ষুশূল হয়েছে।
আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে ‘গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭৫ বছর উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ এই সেমিনারের আয়োজন করে।
বিএনপির সাম্প্রতিক মন্তব্য নিয়ে অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে কিছু সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে, আর কিছু নবায়ন করা হয়েছে, কোনো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি। আর সমস্ত সমঝোতা স্মারক দেশের স্বার্থেই করা হয়েছে। অথচ বিএনপি নেতারা গলা ফাটিয়ে বলে যাচ্ছে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। মির্জা ফখরুল সাহেব নাকি ঢাকা কলেজে পড়াতেন, বিএনপির আরও কিছু নেতাসহ ড. মঈন খানও শিক্ষিত। চুক্তি আর সমঝোতা স্মারকের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে না পারা বিএনপির শিক্ষিত নেতারা কেন অশিক্ষিতের মতো কথা বলছেন, সেটি আমার বোধগম্য নয়।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, আসলে যাদের নেত্রী বলেছিলেন সাবমেরিন কেব্লের সঙ্গে বাংলাদেশ যুক্ত হলে দেশের সমস্ত ‘সিক্রেসি আউট’ হয়ে যাবে, তারা কানেকটিভিটির মর্ম বোঝার কথা নয়। যেমন নেত্রী তেমন তার সভাসদ। সে জন্যই তারা এসব আবোলতাবোল কথা বলছেন, আর বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। অথচ ফিলিস্তিনের গাজায় ৩৮ হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যার বিষয়ে বিএনপি কোনো কথা বলে না। আর জামায়াতও এ নিয়ে একটি শব্দও বলেনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ভারতের বুকের ওপর দিয়ে নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। ভুটানের সঙ্গেও আলাপ-আলোচনা চলছে। এ অঞ্চলের মানুষের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির স্বার্থেই সেই কানেকটিভিটিকে আমরা আরও বাড়াতে চাই। নেপাল ও ভুটানকেও যুক্ত করতে চাই। কিন্তু বিএনপি সেটি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।’
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যাপক মো. মঈনুদ্দীন, যুগ্ম সম্পাদক দেবাশীষ পালিত প্রমুখ।