জাবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ১৫ পদের ১১টিতে আওয়ামীপন্থীরা জয়ী
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ১৫ পদের মধ্যে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ১১টি পদে জয়লাভ করেছে আওয়ামীপন্থী বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ। অন্যদিকে সহসভাপতি, যুগ্ম সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষসহ বাকি চার পদে জয়লাভ করেছে বিএনপিপন্থী জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম।
আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় গণনা শেষে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক অনিরুদ্ধ কাহালি। সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্লাবে ১৫ পদের জন্য নির্বাচন শুরু হয়। নির্বাচনে ৬০২ ভোটারের মধ্যে ৫৭৫ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
নির্বাচনে ২৮৩ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ আহমদ এবং ৩৩০ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির (আইআইটি) অধ্যাপক এম শামীম কায়সার। তাঁরা দুজনই বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের প্যানেল থেকে নির্বাচন করেন।
জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম থেকে সহসভাপতি পদে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন, কোষাধ্যক্ষ পদে অর্থনীতি বিভাগের মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এবং দুটি যুগ্ম সম্পাদক পদে প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ রেজাউল রাকিব জয়লাভ করেছেন।
নির্বাহী সদস্যদের ৯ পদের সবগুলোতে বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ জয় পেয়েছে। নির্বাচিত নির্বাহী সদস্যরা হলেন—অধ্যাপক আহমেদ রেজা, নাজমুল হাসান তালুকদার, ফারহা মতিন জুলিয়ানা, মোহাম্মদ শফিক উর রহমান, মিজানুর রহমান, সুবর্ণা কর্মকার, সাব্বির আলম, মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম ও মাহফুজা খাতুন। বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ থেকে বিজয়ী সদস্যরা উপাচার্য নূরুল আলমের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নবনির্বাচিত সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আজকের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পেশাগত স্বার্থ সংরক্ষণ ও সার্বিক উন্নয়নে শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করব। দলমত–নির্বিশেষে সব শিক্ষকের হয়ে কাজ করতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ দিন ধরে না হওয়া গণতান্ত্রিক নির্বাচনগুলো আয়োজনের চেষ্টা করব।’