কাশিমপুর কারা ব্যারাকের ছাদে পড়ে ছিল পুলিশ পরিদর্শকের মরদেহ

মরদেহ উদ্ধার
প্রতীকী ছবি

গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের ভেতর পুলিশের ব্যারাক থেকে এক পরিদর্শকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নেওয়া হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যুর কারণ জানাতে পারেনি সংশ্লিষ্ট পুলিশ ও চিকিৎসক।

ওই পুলিশ পরিদর্শকের নাম মো. মোয়াজ্জেম হোসেন (৫৬)। তাঁর বাড়ি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানার বাদে আমজাদী এলাকায়। তিনি গত ২২ মে গাজীপুর মহানগর পুলিশে আসেন, দায়িত্ব পালন করছিলেন কাশিমপুর কাগারের ভেতর আসামি স্কোয়াডে নিয়োজিত পুলিশ ব্যারাকে। এর আগে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাজ করেছেন তিনি।

কোনাবাড়ী থানার পুলিশ ও মোয়াজ্জেমের সহকর্মী সূত্রে জানা গেছে, কাশিমপুর কারাগারের ভেতর আদালতে আসামি আনা–নেওয়ার জন্য পুলিশ সদস্যদের একটি ব্যারাক আছে। সেখানে কাজ করেন মোট ২৩ জন পুলিশ সদস্য। ব্যারাকটির ভবনটি চারতলা। মোয়াজ্জেম ছিলেন ব্যারাকের ইনচার্জ। থাকতেন চারতলার একটি কক্ষে। গতকাল সোমবার বিকেল পাঁচটায় দায়িত্ব পালন শেষে যে যার মতো বিশ্রামে চলে যান। এরপর রাত পেরিয়ে সকাল হয়ে গেলেও মোয়াজ্জেমের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভবনের ছাদে তাঁকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরবর্তী সময়ে তাঁকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ১২ জুন পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশে তাঁর মক্কায় যাওয়ার কথা ছিল।

এ বিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘হাসপাতালে আনার পর আমরা তাঁকে(মোয়াজ্জেম) মৃত অবস্থায় পেয়েছি। তাঁর শরীরে আঘাত বা অন্যকিছুর চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে নাক দিয়ে রক্ত বেরিয়েছে। ময়নাতদন্ত করা হলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’

কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে এম আশরাফের ভাষ্য, ‘মোয়াজ্জেম বয়স্ক মানুষ। হয়তো গরম সহ্য করতে পারছিলেন না। আমরা ছাদের দরজার সামনে অজ্ঞান অবস্থায় পেয়েছি। পরবর্তী সময়ে তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তদন্ত শেষে পুরো ঘটনা বোঝা যাবে।’

কাশিমপুর কারগার-২–এর ডেপুটি জেলার স্বপন কুমার ঘোষ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ব্যারাকটি কারাগারের হলেও আসামি আনা-নেওয়ার সুবিধার্থে গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদস্যরা এখানে থাকছেন। তাঁরা নিজেরাই এটার দেখভাল করেন। তাই বিষয়টি আমাদের জানা নেই।’