‘ঠান্ডা মনে হচে নয়া করে আসেচে’

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তবে সকাল সকাল কুয়াশা কেটে দেখা দিয়েছে ঝলমলে রোদ। ছবিটি সকাল সাড়ে ৯টায় পঞ্চগড় সদর উপজেলার গোফাপাড়া এলাকা থেকে তোলাছবি : রাজিউর রহমান

মাঘের শেষ সময়ে এসে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় টানা তিন দিন ধরে সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাপমাত্রা কমে গিয়ে অনুভূত হয়েছে কনকনে শীত। তবে সকাল সকাল ভূপৃষ্ঠে কুয়াশার পরিমাণ কমে গিয়ে উঁকি দিয়েছে সূর্য। ঝলমলে রোদে স্বস্তি ফিরেছে জনমনে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গতকাল বুধবার তেঁতুলিয়ায় সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত মঙ্গলবার তেঁতুলিয়ায় সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গতকাল বুধবার দিনভর মেঘলা আকাশ আর উত্তরের হিমেল বাতাসে সূর্যের তীব্রতা ছড়াতে না পারায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমে যায়। গভীর রাতে হিমেল বাতাসের সঙ্গে বাড়তে থাকে কুয়াশার দাপট। রাতভর অনুভূত হতে থাকে কনকনে শীত। হাড়কাঁপানো শীতে স্থবির হয়ে পড়ে জনজীবন। রাতভর টিপ টিপ বৃষ্টির মতো ঝরে কুয়াশা। সেই কুয়াশা ছিল আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কুয়াশা কেটে গিয়ে উঁকি দিতে থাকে সূর্য। ধীরে ধীরে উঠে ঝলমলে রোদ। এতে স্বস্তি ফেরে খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে।

সকাল ৯টার দিকে সদর উপজেলার নির্মাণশ্রমিক নজরুল ইসলাম (৫০) বলেন, ‘কয়েক দিন আগোত (আগে) মনে হচে ঠান্ডাখান পালাছে (শীত চলে যাচ্ছে)। এ্যালা কাইল তকা (কালকে থেকে) ঠান্ডা মনে হচে নয়া করে আসেচে। আজি সারা রাতি কনেকো (একটুও) ঠান্ডাখান কমেনি। আজি সকালে রোদখান উঠে ভালয় নাগেছে।’

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জাহিদুল ইসলাম (৩৫) নামের এক ভ্যানচালক বলেন, ‘কাইল রাতিত যে ঠান্ডা আর কুয়াশা, শারীলডা খালি কাঁপাছে। আজি সকালে রোদ না উঠিলে আরহো ঠান্ডা বেশি লাগিল হয়।’

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, তিন দিন ধরেই তেঁতুলিয়ায় সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। তবে আজ হঠাৎ তাপমাত্রা বেশি কমে গেছে। এর কারণ হচ্ছে উত্তরের হিমেল বাতাসের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। রাতে ও সকালে কুয়াশা থাকলেও তা বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কেটে গেছে। আকাশে মেঘ না থাকায় ভূপৃষ্ঠে সূর্যের তীব্রতা ছড়াচ্ছে। এ জন্য দিনের বেলা মানুষ স্বস্তিতে কাজকর্ম করতে পারছেন।