গোয়ালন্দ পৌর মেয়র নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম
ছবি: সংগৃহীত

গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র ও গোয়ালন্দ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল রোববার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ফরিদপুরে এ মামলাটি করেন দুদক ফরিদপুরের সহকারী পরিচালক সরদার আবুল বাসার। ৫৯ লাখ ৭৪ হাজার ৩০৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ১১ লাখ ৮১ হাজার ২১৪ টাকার সিসি ঋণ পরিশোধ হওয়া সত্ত্বেও তা সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ করে মিথ্যা তথ্য প্রদান করার অভিযোগে মামলাটি করা হয়।

ফরিদপুর দুদকের উপপরিচালক রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুদক সমন্বিত জেলা অফিসে মামলাটি দায়েরের পর এটি রাজবাড়ী বিশেষ জজ আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, দুদকের এক কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত করে পরে ওই আদালতে অভিযোগপত্র দেবেন।

নজরুল ইসলাম গোয়ালন্দ উপজেলা সদরের দেওয়ান মোল্লাপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত গোয়ালন্দ পৌরসভা নির্বাচনে তিনি মেয়র নির্বাচিত হন।

অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি গোয়ালন্দে বাড়ি করি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে। অথচ আমি মেয়র নির্বাচিত হয়েছি ২০২১ সালে। আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমাকে হয়রানি করার জন্য বিভিন্ন তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘দুদক জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ সম্পর্কে যে অভিযোগ এনেছে, তা আমার অবর্তমানে গণপূর্ত ও দুদক আমার নির্মিত বাড়ির মাপজোখ করে এবং আমার আয়কর প্রদানের তথ্যের অমিল–সম্পর্কিত। দুদক এ অভিযোগ দেওয়ার পর আমি দুদকের চেয়ারম্যানের কাছে পুনরায় বাড়ির পরিমাপ করা ও আয়করের অসংগতির বিষয় নতুন করে মূল্যায়নের আবেদন জানিয়েছিলাম। কিন্তু দুদক তা করেনি।’ সিসি ঋণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘২০২১ সালে পৌরসভার নির্বাচনে দাঁড়ানোর আগে আমি ওই ঋণ শোধ করে দিয়েছি। আমি শোধ করার কথা দুদকে জানিয়েছি। কিন্তু তারা বিষয়টি আমলে না নিয়ে এ মামলা করেছে।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দুদকের উপপরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ‘সিসি ঋণের ব্যাপারটা নজরুল ইসলাম দায় হিসেবে দেখিয়েছিলেন। দায় থাকায় তা মূল আয় থেকে বাদ দেওয়ার কথা। কিন্তু তিনি জবাব দেওয়ার আগেই ওই ঋণ পরিশোধ করে দিয়েছেন। এ তথ্যটা উনি গোপন করায় বিষয়টি মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে।’