জীবননগরে ভ্যানচালকের রহস্যজনক মৃত্যু, খোয়া গেছে মুঠোফোন

চুয়াডাঙ্গা জেলার মানচিত্র

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় মজনু  মিয়া (২৮) নামের ব্যাটারিচালিত একজন ভ্যানচালকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার সকাল নয়টার দিকে উপজেলার উথলী ইউনিয়নের সন্তোষপুর ও ধোপাখালী গ্রামের মধ্যবর্তী কাবলেচারা মাঠ থেকে স্থানীয় লোকজন তাঁকে  মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় মজনুর ভ্যান ও ব্যবহৃত মুঠোফোনটিও পাওয়া যায়নি।

নিহত ভ্যানচালক মজনু মিয়া উথলী ইউনিয়নের সন্তোষপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। মা–বাবা ছাড়াও বাড়িতে মজনুর স্ত্রী এবং ছয় ও তিন বছর বয়সী দুটি কন্যাসন্তান আছে।

জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জাবীদ হাসান বলেন, আজ সকাল নয়টার দিকে তিনি বিষয়টি  জানতে পারেন। এরপর থানা থেকে পুলিশ পাঠিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন ও লাশটি মর্গে পাঠান। ওসি বলেন, ‘নিহতের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। মুখ দিয়ে লালা বের হচ্ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, বিষাক্ত কিছু পানের কারণে তাঁর মৃত্যু হতে পারে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।’

নিহত মজনু মিয়ার বাবা আবুল কাশেম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল মঙ্গলবার রাতে ভ্যান নিয়ে বাইরেই ছিলেন মজনু। রাতে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। আজ সকাল নয়টার দিকে খোঁজ পান, ছেলে অচেতন অবস্থায় মাঠের মধ্যে পড়ে আছে। এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ছেলের মৃত্যুরহস্য নিয়ে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার ছেলের মরে যাওয়া কুনু (কোনো) স্বাভাবিক ঘটনা না। স্বাভাবিক হলে ভ্যান ও মোবাইল ফোন ছেলের পাশেই থাকত।’