ষড়যন্ত্র করে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে: হিরো আলম

আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম
ফাইল ছবি

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ষড়যন্ত্র করে মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম।

আজ রোববার ঢাকার আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমসহ আটজনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। পরে এক প্রতিক্রিয়ায় হিরো আলম এসব কথা বলেন।

হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিলের বিষয়ে রিটানিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান বলেন, আইন অনুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ১ শতাংশ ভোটারের সইসহ সমর্থনসূচক তালিকা দাখিল করতে হয়। হিরো আলম যে তালিকা দাখিল করেছিলেন, সেখানে গরমিল পাওয়া গেছে।

তবে হিরো আলমের দাবি, মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ১ শতাংশ ভোটারের সইসহ সমর্থনসূচক যে তালিকা দাখিল করা হয়েছে, তাতে কোনো গরমিল নেই।

হিরো আলম দাবি করেন, তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে লোক পাঠানো হয়েছিল। তাঁর সমর্থকেরা তাঁদের সঙ্গে ছিলেন। তবে পুলিশ নিয়ে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাওয়ায় ভয়ে অনেকেই তথ্য যাচাইকারীদের সামনে আসেননি। কেউ আবার পুলিশের ভয়ে বাড়ি থেকে চলে যান।

এর আগে ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে প্রার্থিতা ফেরত না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন।

পরে হাইকোর্টের আদেশে তিনি নির্বাচনে ফিরে আসেন। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বগুড়া-৪ আসনে একতারা প্রতীকে ৮৩৪ ভোট কম পেয়ে আওয়ামী লীগ–সমর্থিত জাসদের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিমের কাছে হারেন তিনি।

হিরো আলম আজ বলেন, ‘২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ষড়যন্ত্র করে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছিল। ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৪ ও ৬ আসনের উপনির্বাচনে যে অজুহাত তুলে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছিল, ঠিক একইভাবে ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনেও কোনো কারণ ছাড়াই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমি নির্বাচন কমিশনে আপিল করব।সেখানে ন্যায়বিচার না পেলে হাইকোর্টে যাব।’ তিনি মনে করেন, ঢাকা-১৭ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিলের পর থেকেই কারও কারও ঘুম হারাম হয়ে গেছে, তাঁরা তাঁকে মাঠ থেকে সরিয়ে দিতে উঠেপড়ে লেগেছেন।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ জুন। পরদিন হবে প্রতীক বরাদ্দ। ১৭ জুলাই সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যালট পেপারে ভোট নেওয়া হবে।

গত ১৫ মে চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠানের (ফারুক) মৃত্যু হলে আসনটি শূন্য হয়।